দীঘিনালায় স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, ছাত্রলীগ নেতা আটক
জেলার দীঘিনালায় দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) গণধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় প্রধান আসামী কবাখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
উপজেলার কবাখালীতে সোমবার রাত সোয়া ১টার দিকে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব কাঁঠালতলী থেকে শাহরিয়ার হোসেনকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মিন্টু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্তদের বহিষ্কারের কথা বলেন।
ওই স্কুলছাত্রীর আত্মীয় চম্পা চাকমা জানান, সে দশম শ্রেণীর ছাত্রী। সোমবার দীঘিনালা সদরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আসে। রাত ১২টার দিকে বাসায় ফেরার পথে চার যুবক তাকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মিন্টু জানান, কবাখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার সোহেলের (২৭) নেতৃত্বে মৎস্যজীবী লীগের সদস্য আমির হোসেন (২৮), সোহাগ মিয়া (৩০) ও সাইফুল ইসাম (২৬) মিলে এ ঘটনা ঘটায়।
তিনি জানান, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার সোহেলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর তিনজনকে বহিষ্কারের জন্য উপজেলা মৎস্যজীবী লীগকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদত হোসেন টিটু জানান, ঘটনার প্রধান আসামী শাহরিয়ার সোহেলকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
খাগড়াছড়ি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সঞ্জীব ত্রিপুরা জানান, এ ঘটনায় ডাক্তার আব্দুস সামাদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।