দেশে এখন প্রতিকূল অবস্থা চলছে : প্রধানমন্ত্রী
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিকূল একটা অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা চলছি। দেশের একটি রাজনৈতিক দল বা জোট যখন মানুষকে পুড়িয়ে-জ্বালিয়ে মারছে তখন ডা. সিরাজুল আকবরের মতো একজন রাজনৈতিক নেতা প্রয়োজন ছিল।
দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে মঙ্গলবার সংসদ সদস্য মরহুম ডা. সিরাজুল আকবরের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
সোমবার রাত ৯টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সিরাজুল আকবর।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও উনাকে (সিরাজুল) যতবার মনোনয়ন দিয়েছি ততবারই বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মাগুরাবাসীর কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। এই মহৎ চিকিৎসককে হারানোর মধ্য দিয়ে শিশুরা একজন সেবক হারাল।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তাকে দু’বার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান করেছিলাম। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর রেড ক্রিসেন্টকে দুর্নীতি-অনিয়ম থেকে মুক্ত করে এ সংস্থার মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। রেড ক্রিসেন্টের বড় দায়িত্ব যে জনসেবা করা সেটা তিনি প্রতিস্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার (৯ মার্চ) যখন বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আমাদের ক্রিকেট দল কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল, আমরা সবাই যখন আনন্দে আত্মহারা ঠিক সেই মুহূর্তে শুনতে পেলাম সিরাজুল আকবর আর নেই। এটা সত্যিই খুব বেদনাদায়ক।
শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, হাবিবে মিল্লাত, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, কামরুন লায়লা জলি, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়। এর পরই রেওয়াজ অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া সংসদের বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করেন।