খালেদার কার্যালয়ে এবার কলাপসিবল গেট
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের মূল ভবনের প্রধান ফটকে কলাপসিবল গেট লাগানো হয়েছে।
গুলশান-২ নম্বরের ৮৬ নম্বর সড়কের ওই বাড়িতে মঙ্গলবার শ্রমিকদের কলাপসিবল গেট লাগাতে দেখা গেছে।
কার্যালয়ে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য কার্যালয়ের মূল ভবনের প্রধান ফটকে আগেই কলাপসিবল গেট লাগানো পরিকল্পনা ছিল। এখন তা লাগানো হচ্ছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের চারদিকের দেয়ালে কাঁটাতারের বেষ্টনী তৈরি করা হয়। এখন নিরাপত্তার জন্য কলাপসিবল গেট লাগানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারির রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের বাধার মুখে ৩ জানুয়ারির রাত থেকে গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া। এরপর পুলিশ সড়কে বালুর ট্রাক রেখে, ফটকে তালা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশি বাধা উঠিয়ে নেওয়ার পরও খালেদা জিয়া কার্যালয়েই অবস্থান করে আসছেন।
এদিকে, ৫ জানুয়ারির সমাবেশ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়ায় সারাদেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর কিছুদিন ওই কার্যালয়ে প্রবেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ।
বালুর ট্রাক সরানোর পর ১৯ জানুয়ারি ফটকের সামনে থেকে পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হলেও খালেদা জিয়া কার্যালয় আর ছাড়েননি। মালয়েশিয়া থেকে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ আসার পর সেখানেই ছেলেকে শেষ বিদায় জানান তিনি।
ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দলের নেতারা অবাধে খালেদার ওই কার্যালয়ে ঢুকতে পারলেও এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে অবরোধের সঙ্গে হরতাল ডাকার পর ওই এলাকায় পুলিশের তৎপরতা আবারও বাড়ানো হয়। এর মধ্যে ওই কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ২০ ঘণ্টা পর পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়। তবে ইন্টারনেট, ক্যাবল টিভি সংযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
গুলশান কার্যালয়ে ৩ জানুয়ারির রাত থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ অনেকে অবস্থান করছেন। এ ছাড়া ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যালয়ে অবস্থান করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুর ইসলাম খান।