তরুণীর দেহের সাত খণ্ড ও যুবকের লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর অসম্পূর্ণ দেহের সাত খণ্ড এবং এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফকিরাপুল এলাকা থেকে মঙ্গলবার বিকেলে তরুণীর এবং ভাটারার জোয়ারসাহারা এলাকা থেকে একই সময় অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আউয়াল হোসেন জানান, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে ফকিরাপুল কালভার্ট রোডের হোটেল উপবনের পাঁচ তলা ভবনের ছাদসহ পাশের ওয়াসার টিনশেড স্টোররুম ও ক্যান্টিনের ছাদ থেকে খণ্ডগুলো উদ্ধার করা হয়।
অসম্পূর্ণ দেহের সাত খণ্ড হলো- ওই তরুণীর খণ্ডিত মাথা, গলা থেকে পেট পর্যন্ত খণ্ডিত অংশ, হাঁটুর উপর থেকে দুই পায়ের অংশ, বাম হাতের দুই টুকরা এবং ডান হাতের অসম্পূর্ণ অংশ। এ ছাড়া তরুণীর নাভির উপরে তিনটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খণ্ডিত অংশের সঙ্গে প্রিন্টের সালোয়ার-কামিজ, লাইলনের রশি ও একটি বেডশিট ছিল।
এসআই আউয়াল হোসেন আরও জানান, সোমবার গভীর রাতের যেকোন সময় ওই তরুণীকে হত্যা করে ওইসব স্থানে খণ্ডিত অংশ ফেলে রাখা হতে পারে। হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হতে খণ্ডিত অংশের ময়নাতদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
ওই তরুণীর বয়স ২২ থেকে ২৩ বছর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ভাটারা থানাধীন জোয়ারসাহারা এলাকার একটি ছয় তলা ভবনের চতুর্থ তলা থেকে মঙ্গলবার বিকেলে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক জানান, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে বিকেল ৪টায় লাশটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়।
তিনি আরও জানান, ওই যুবকের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। বিকেল ৪টার আগে নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করে ১২১/৩ নম্বর বাসার চতুর্থ তলার মেসে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
ওই যুবকের পরনে কালো নেভিব্লু গেঞ্জি ও কালো জিন্সের প্যান্ট ছিল।
বাড়ির মালিকের উদ্ধৃতি দিয় এসআই মোজাম্মেল হক আরও জানান, কয়েক মাস আগে বাসাটি মেস হিসেবে ভাড়া নেয় কয়েক যুবক।