হত্যার দায়ে ৫ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের কর্মচারীর ছেলেখোরশেদ আলম হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- দুলাল ওরফে আনু, বিল্লাল, শরিফ মাহমুদ, আমজাদ ও ওয়ালীউল্লাহ। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- সুমন, সালাউদ্দিন ও জাবেদ মিয়া। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে আরও এক বছেরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আনু ও বিল্লাল আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামীরা পলাতক।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ২২ মে রাত সাড়ে ৮টায় মিডফোর্ড হাসপাতালের কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তার ছেলে খোরশেদ আলমকে হাসপাতালের পেছনে গুরুতর জখম অবস্থায় দেখতে পান। পরে উদ্ধার করে মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কর্মচারীদের দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে ১৫ জনের নামে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০১ সালে ৫ জুলাই আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।