দুই বছর বন্ধ সিমের মালিকানা বাতিল
দুই বছর বন্ধ থাকা নম্বর অপারেটরদের পুনরায় বিক্রি করার অনুমোদন দিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
একই সঙ্গে মোবাইল রিচার্জের ক্ষেত্রেও কত টাকায় কতদিন মেয়াদ দিতে হবে, তার ন্যূনতম সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এ নির্দেশনায়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পরপর বা টানা ৯০ দিন বন্ধ থাকলে সেই মোবাইল সংযোগ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। এক বছরের মধ্যে ন্যূনতম পরিমাণ রিচার্জের মাধ্যমে এই সংযোগ চালু করতে পারবেন গ্রাহকরা। গ্রাহক এক বছরের মধ্যে এই সংযোগ চালু না করেন, তাহলে দুই বছরের (৭৩০ দিন) মধ্যে অনধিক ১০০ টাকা রিএক্টিভেশন ফি দিয়ে তা চালু করতে পারবে।
সংযোগ বন্ধ থাকলেও ৭৩০ দিন পর্যন্ত গ্রাহকের নম্বর সংরক্ষণ করতে অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি। এই সময়ের পর পুনরায় বিক্রি বা পুনরায় নিবন্ধন করতে পারবে অপারেটররা। তবে যদি কমিশন বা কোনো সংস্থার আপত্তিতে তা হবে না।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পুনরায় বিক্রি করার আগে সকল নম্বর অপারেটরদের নিজস্ব ওয়েবসাইট, কাস্টমার কেয়ার সেন্টার এবং কমিশনের ওয়েবসাইটে তুলে ধরতে হবে। তবে সেই গ্রাহকের নিবন্ধন, ব্যবহার ও অন্যান্য ডকুমেন্ট অপারেটরদের সংরক্ষণ করতে হবে।
মোবাইল রিচার্জের ক্ষেত্রে মেয়াদ নির্ধারণ বিষয়ে নির্দেশনায় বলা হয়ছে, ১০ থেকে ৩০ টাকা রিচার্জে ১০ দিন, ৩১ থেকে ৫০ টাকায় ১৫ দিন, ৫১ থেকে ১৫০ টাকায় ৩০ দিন, ১৫১ থেকে ৩০০ টাকায় ৪৫ দিন, ৩০১ থেকে ৫০০ টাকায় ১০০ দিন, ৫০১ থেকে ৯৯৯ টাকায় ১৮০ দিন এবং এক হাজার বা তার বেশি টাকা রিচার্জে ন্যূনতম এক বছর মেয়াদ হবে।
অব্যবহৃত সিম বিক্রির সিদ্ধান্তে সরকার ও অপারেটর দুই পক্ষের সুবিধা হবে। এতে অপারেটরদের আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রাজস্বও বাড়বে। সকল অপারেটরের মতামতের ভিত্তিতেই বিটিআরসি এ নির্দেশনা জারি করেছে বলে জানা গেছে।