সংবাদ সম্মেলনে যা বলবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৫৩ দির পর শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন। ৬ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধ হরতাল শুরু হওয়ার পর এটি তাঁর দ্বিতীয় সংবাদ সম্মেলন। তিনি সর্বশেষ ১৯ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁর গুলশানের কার্যালয়ে। আর চলামান পরিস্থিতিতে তাঁর এই সংবাদ সম্মেলন নিয়ে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির সূত্রগুলো জানায়, খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করবেন তা আগেই নির্ধারিত ছিল। তবে তা হঠাৎ করে শুক্রবারে করার প্রধান কারণ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদের অপহরণ বা নিখোঁজ হওয়া। খালেদা জিয়া এই বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি আন্দোলন শুরুর পর সারাদেশে ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, খুন, গুম , ক্রসফায়ার এবং অপহরণের’ তালিকাও প্রকাশ করতে পারেন বলে প্রিয়.কমকে জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের প্রেস উইং-এর কর্মকর্তা শাইরুল কবির খান।
শাইরুল কবির খান বলেন, ‘দেশের মানুষকে এই খুন-গুমের কথা জানানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও তুলে ধরা হবে। গত দু’সপ্তাহ ধরে সারাদেশ থেকে আহত, নিহত এবং অপহরণের শিকার নেতা-কর্মীদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আটক নেতা-কর্মী ও মামলার তালিকাও সংগ্রহ করা হয়েছে।’
তিনি জানান,‘আন্দোলন শিথিল নয় বরং চলমান অবরোধ হরতালের সঙ্গে আরো নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন খালেদা জিয়া। আর তা হতে পারে গণমিছিলের কর্মসূচি। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশের মানুষের সমনে বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সবাইকে চলমান আন্দোলনে শরীক হওয়ার আহ্বান জানাবেন। বলবেন সংলাপ এবং নির্বাচনের কথা।’ খালেদা জিয়া কোনভাবেই আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না, বরং আরো কঠোর অবস্থানে যাবেন বলে জানান তিনি।
শাইরুল কবির খান জানান,‘খালেদা জিয়ার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, তল্লাশি পরোয়ানা এবং পুরনো মামলা সচল করার ব্যাপারে তাঁর এবং দলের অবস্থানও ব্যাখ্যা করবেন। তুলে ধরবেন সরকারে চাপ এবং হয়রানির নতুন নতুন দিক।’
বিএনপির আরেকটি সূত্র জানায়, আন্দোলনে ভিন্নতা আসতে পারে। আর তাতে হরতাল-অবরোধ কিছুটা শিথিল করে নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে। তবে তা হবে আরো কঠোর।
খালেদা জিয়া গত ৩ জানুয়ারি থেকে তাঁর গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। বিকেল ৪টায় এখানেই তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন।