ধর্ষণের বিরুদ্ধে স্যানিটারি ন্যাপকিন, এক বিদেশিনীর অভিনব প্রতিবাদ
Elonë Kastratia, জার্মানির Karlsruhe শহরের এক তরুণী যাকে কদিন আগেও কেউ চিনত না। কিন্তু চলতি বছরের ৮ মার্চ, নারী দিবসের দিনে পাল্টে গেলো দৃশ্যপট। Kastratia এমন একটি কাজ করে বসলেন যা তাঁকে নিয়ে এলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন তিনি, কিন্তু সেটা করেছেন সমগ্র শহরে স্যানিটারি ন্যাপকিন ঝুলিয়ে। হ্যাঁ, ঠিক পড়েছেন। Kastratia তাঁর প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছেন স্যানিটারি ন্যাপকিনকে। এবং বলাই বাহুল্য যে তাঁর এই অভিনব প্রতিবাদ দারুণ সাড়া ফেলেছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়েছে প্রশংসিত।
ঘটনার শুরু ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। যখন Kastratia-র চোখে পড়ে একটি টুইট, যাতে লেখা ছিল একটি শক্তিশালী বার্তা। এক নারী টুইট করেছিলেন- “পুরুষেরা পিরিয়ডকে যতটা ঘেন্না পায়, ধর্ষণকেও ততটা ঘেন্না পেলে কেমন হতো?” এই বার্তাটি Kastratiaর মনে গেঁথে যায় এবং অবশেষে নারী দিবসের দিনে তিনি কিছু একটা করার চিন্তা করেন। এই বার্তাটি এবং আরও কিছু বার্তা তিনি স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপরে লিখে ছড়িয়ে দেন তাঁর শহর ময়।
Kastratia বলেন, “আমি জানিনা এটা বেআইনি কিনা। কিন্তু আসলে আমি পরোয়াও করি না।” তিনি হাফিংটন পোষ্টে আরও বলেন। “আমি একটি ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম এবং নারী দিবসকেই আমার আদর্শ মনে হল। রাস্তায় চলাচল করা মানুষেরা এটা দেখেছে এবং বিষয়টি নিয়ে ভেবেছে। আমি এই সচেতনটাই জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় Kastratia নিজেই পোষ্ট করেছেন ছবিগুলো এবং আশার চাইতেও অনেক বেশী সাড়া পেয়েছেন। প্রচুর পরিমাণে শেয়ার হয়েছে সেসব ছবি এবং প্রচুর প্রশংসাও পেয়েছেন তিনি। তবে বলাই বাহুল্য যে সমালোচনার শিকারও হতে হয়েছে। অনেকেই তাঁর এই অভিনব প্রতিবাদকে ভালোভাবে নিতে পারেন নি এবং অনেকে এটাও বলেছেন যে কেবল বিখ্যাত হবার জন্য Kastratiaর এই আয়োজন, তিনি পুরুষদেরকে ঘেন্না করেন ইত্যাদি। তবে Kastratia বলেন, “আমি এসবের মোটেও পরোয়া করি না এবং আমি পুরুষদের ঘেন্নাও করিনা। আমার কাছে নারীবাদ মানে নারী-পুরুষের সমতা। আমি বিখ্যাত হতে চাই না, আমি শুধু চাই মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন হোক।”
সূত্র- হাফিংটন পোষ্ট