‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। অধিকার আদায়ে লড়াই না করলে অর্জিত স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে।
‘চলমান আন্দোলন কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয়’ উল্লেখ করে ‘যৌক্তিক’ পরিণতিতে না পৌঁছা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেন তিনি।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ২০ দলীয় জোটের অবস্থান তুলে ধরে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন এ কথা বলেন। শুক্রবার বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য শুরু করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এ প্রক্রিয়াতেই আমরা সমস্যা সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে পারবো। আন্দোলনকে দ্রুত নিয়ে আসতে পারবো শান্তিপূর্ণ সমঝোতার পথে। জীবনের এ প্রান্তে ক্ষমতা আমরা কাছে বড় কিছু নয়। দেশবাসীর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে আমি অতীতে কয়েকবার দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছি। প্রিয় সেই দেশবাসীর জন্য তাদের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই আমরা লড়াই করছি। এ আন্দোলন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তির নয়। কোনো দলের বিরুদ্ধে কোনো দলের নয়। এ আন্দোলন আদর্শের। এ আন্দোলন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার। এ আন্দোলন গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সকলের। আজকের এ আন্দোলন ক্ষমতা দখলের আন্দোলন নয়। এ আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলার আন্দোলন।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে দেশবাসী ও নেতা-কর্মীর কষ্ট ও ক্ষয়ক্ষতির কথা আমরা জানি ও বুঝি। এ সম্পর্কে সকলেই সচেতন। কেবল ক্ষমতাসীনদের কোনো বোধোদয় নেই। জনগণের দুর্দশা লাঘবের চেয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকাই তাদের কাছে বড়। সাহসিকতার সঙ্গে সবাই অংশগ্রহণ করলে এ আন্দোলন অচিরেই সফল হবে ইনশাআল্লাহ্। এ সাময়িক কষ্ট জাতির বৃহত্তর স্বার্থে স্বীকার করার জন্য আমি সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যে সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের কথা বলা হয়েছে তার বাস্তবায়নের মাধ্যমেই একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। দেশের মালিকানা আমরা তাই দেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। যাতে ভোটের অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারাই সিদ্ধান্ত দিতে পারে তাদের পক্ষে কারা দেশ পরিচালনা করবে। আমি এ আন্দোলনে দল-মত-পেশা-শ্রেণী নির্বিশেষে সকল ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে শামিল হবার উদাত্ত্ব আহ্বান জানাচ্ছি। আমার আহ্বান, যারা এখনো নিষ্ক্রিয় আছেন তারা সক্রিয় হোন। নিজ নিজ অবস্থান ও এলাকায় আন্দোলন গড়ে তুলুন। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর গড়ে তুলুন জাতীয় ঐক্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনার ভিত্তি হিসাবে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরি। তারা সঙ্গে সঙ্গে তা নাকচ করে দেয়। এ পরিস্থিতিতে সংকট নিরসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং ভোটাধিকারসহ জনগণের সকল অধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ আমাদের সামনে খোলা রাখা হয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছি। ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনটি আমরা গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালনের কর্মসূচি দিয়েছিলাম। ঢাকায় আমাদের সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি বানচালের উদ্দেশ্যে ক্ষমতাসীনেরা ৩ জানুয়ারি থেকে অঘোষিতভাবে দেশ অবরুদ্ধ করে ফেলে। সড়ক ও নৌপথে সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাজধানীকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। আমাদের কর্মসূচির আগের রাতেই আমাকে এ কার্যালয়ে বালু ও ইটবোঝাই ট্রাক, জলকামান ও সাঁজোয়া যান দিয়ে ঘিরে অবরুদ্ধ করা হয়। পুলিশ বাইরে থেকে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ৫ জানুয়ারি বিকেলে আমি সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশে বেরুতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। আমিসহ ভেতরে অবস্থানরত সকলের ওপর বাইরে থেকে দফায় দফায় বিষাক্ত পিপার স্প্রে ছোঁড়া হয়। প্রাণহানির আশংকা থাকায় মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এ পিপার স্প্রে ব্যবহার আমাদের দেশেও উচ্চ আদালত নিষিদ্ধ করেছেন। সেই পিপার স্প্রে প্রয়োগের কারণে আমি এবং সাংবাদিকসহ অনেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে গাজীপুরেও আমার জনসভা ১৪৪ ধারা জারি করে বন্ধ করা হয়। আমি আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আমার গাড়িবহরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা করে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ অনেককে গ্রেফতার করা হয়। এভাবে বিরোধী রাজনীতি ও ভিন্নমতকে এরা দমন করে দেশে কার্যত একদলীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করে ফেলেছে। সংবাদ-মাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে প্রচারযন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। মানুষের সব অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই না করলে আমাদের স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। জনগণের সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন এখন চলছে। শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ স্বাভাবিক করতে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বরং একের পর এক উস্কানিমূলক আচরণ করে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটানো হচ্ছে। কাজেই যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘অবৈধ স্বৈরাচারী শাসকেরা হত্যা ও উৎপীড়ন চালিয়ে বহু মায়ের কোল খালি করে চলেছে। প্রতিটি জনপদে আজ স্বজনহারা মানুষের কান্নার রোল। এ কান্না অত্যাচারীদের কানে পৌঁছায় না। কে কখন গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের শিকার হবে তা নিয়ে সকলে আতঙ্কিত। শত শত তরুণকে আটক করে গুলি ও নির্যাতনে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যেও সারাদেশে যারা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন আমি তাদেরকে সাধুবাদ দেই।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে সকল শ্রেণীর জনগণ, দল-জোটের নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ী, সমর্থক ও সাংবাদিক বন্ধুরাসহ সবাই যে নির্যাতন, জেল-জুলুম ও দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছেন তার জন্য প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই। যারা নিহত, আহত ও গুম হয়েছেন বেদনাহত চিত্তে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সমাবেদনা জানাই। আল্লাহর রহমতে দিন পরিবর্তন হলে আমরা অবশ্যই আপনাদের পাশে দাঁড়াবো। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের যেসব বন্ধুরাষ্ট্র এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং গণমাধ্যম ও সিভিল সমাজের সদস্যবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছেন আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র ও নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক মানুষ জীবন দিয়েছে, অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। উন্নত কিংবা অনুন্নত কোনো দেশেই গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই এবং সংগ্রামী মানুষের আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যায়নি। বাংলাদেশেও তা বৃথা যাবেনা ইনশাআল্লাহ্।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি, গণতন্ত্রিক রাজনীতিতে হত্যা ও সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। তারপরও আমরা লক্ষ্য করেছি যে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের বর্তমান আন্দোলন চলাকালে সরকার বিভিন্ন হিংসাত্মক পন্থার আশ্রয় নিয়েছে। সরকারের এ দমন-পীড়ন জাতীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি যে, বিরাজমান সমস্যা সমাধানে, জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সারাদেশে যে সব নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে; গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে; পুলিশি ও যৌথবাহিনীর হয়রানি বন্ধ করতে হবে; নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের কার হয়রানিমূলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; বিচার বহির্ভূত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে; সভা-সমাবেশ-মিছিলসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর আরোপিত সকল প্রকার বিধিনিষেধ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে; সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে সকলের অংশগ্রহণে অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে সংলাপের আয়োজন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছি, তখনই বিভ্রান্তি ছড়াবার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ অপপ্রচারণার নোংরা পথ বেছে নিয়েছে। কখনো তারা বলেছে মুজিব হত্যার বিচার ঠেকাতে এবং কখনো বলেছে যুদ্ধপরাধীদের বিচার রোধে নাকি আমরা আন্দোলনে নেমেছি। তাদের এসব অপপ্রচার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি। এবারেও গণবিচ্ছিন্ন শাসকগোষ্ঠী জনগণের আন্দোলনে ভীত হয়ে হত্যা-উৎপীড়নের পাশাপাশি ষড়যন্ত্র, নাশকতা ও অপপ্রচারণায় মেতে উঠেছে। তারা এখন পুরোপুরি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর নির্ভর করে টিকে থাকতে চাইছে। সেই উদ্দেশ্যে এসব বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের ভার কতিপয় দলবাজ কর্মকর্তার হাতে তুলে দিয়ে তাদের মাধ্যমে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসার বাহিনীকে বিরোধী দল ও জনগণকে নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত করছে। আমরা বারবার বলেছি, আজ আবারো আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে আইনসম্মতভাবে কর্তব্য পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। হত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, অপহরণ, নির্যাতন, বন্দী অবস্থায় গুলি করে পঙ্গু করা, বাড়িঘরে হামলা, পাইকারি গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়েরের বেআইনি প্রক্রিয়া থেকে তাদেরকে দূরে থাকতে বলছি।’
‘দেশবাসী জানেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি বরাবরই সন্ত্রাস ও সহিংসতা-নির্ভর। অতীতে আন্দোলনের নামে তারা যে ভয়াবহ সন্ত্রাস চালিয়েছে তা সকলেরই জানা। মাসের পর মাস টানা হরতাল-অবরোধ-অসহযোগ কর্মসূচির নামে তারা নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের সময়ে যাত্রীবাসে গান পাউডার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে যাত্রাবাড়িতে ১৮ জন এবং শেরাটন হোটেলের কাছে ১১ জন যাত্রীকে তারা জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল। ওই দুই পৈশাচিক ঘটনায় দগ্ধ আরো ১২ জন পরে হাসপাতালে প্রাণ হারান। এ ছাড়া বোমা ও ককটেল মেরে এবং পিটিয়ে তারা বহু নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপরেও আক্রমণ করেছে। তাদের সন্ত্রাসের কারণে এসএসসি পরীক্ষা তিন মাস পর্যন্ত পেছাতে হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসেও তারা হরতাল করেছে। যমুনা সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধনের দিনে হরতাল দিয়েছে। স্বল্পমেয়াদী সপ্তম সংসদদের নিয়ম রক্ষার নির্বাচন বর্জন করে সেই নির্বাচন ঠেকাতে তারা ‘‘গণকার্ফু’’ জারি করে দেশব্যাপী হত্যা ও ধ্বংসের তাণ্ডব চালিয়েছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা এম এ কাইয়ুম, চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিশেষ সহকারী এ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
সর্বশেষ ১৯ জানুয়ারি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন খালেদা জিয়া। ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর এই প্রথম গণমাধ্যমের সামনে এলেন তিনি।
এদিকে, খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে শুক্রবার দুপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অন্যদিনের মতো পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।