বাঁশের কেল্লার ফাহাদ ৮ দিনের রিমান্ডে
তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় ছাত্রশিবিরের প্রচার বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ও বাঁশের কেল্লার এ্যাডমিন পরিচালনাকারী এম জিয়া উদ্দিন ফাহাদকে আট দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাকিম মোল্ল্য সাইফুল আলম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ফাহাদকে শুক্রবার আদালতে হাজির করে পল্লবী থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এর আগে, শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস বিফিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। ‘ফাহাদ বাঁশের কেল্লা’ (মেইন বাঁশের কেল্লা), ‘তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা’, ‘আওয়ামী ট্রাইব্যুনাল’, ‘বাকশাল নিপাত যাক’, ‘ডিজিটাল রূপে বাকশাল’, ‘বিএএন বাঁশখালী নিউজ-২৪’, ‘ইসলামী অনলাইন এক্টিভিস্ট’সহ অর্ধশতাধিক ফেসবুক পেইজের এ্যাডমিন পরিচালনা করতেন তিনি।
মনিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফাহাদ জানিয়েছেন, সে ছাত্রশিবিরের প্রচার বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে বর্তমানে নিয়োজিত। সে নিজেও ছদ্মনামে অর্ধশতাধিক ফেসবুক ও ই-মেইল আইডি খুলেছিল। ওই সব আইডি ব্যবহার করে সে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রচার করে আসছিল। ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে সহানুভূতি সৃষ্টি ও সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরীতেও সে প্রচারণা চালাতো বলেও জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর রফিকুল ইসলাম খানের ছেলে রিফাত আব্দুল্লাহ খান।
একই সঙ্গে তিনি পুলিশ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জীবননাশের হুমকি দেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ডিবি পুলিশের এসআই তোফাজ্জাল হোসেন পল্লবী থানায় ২১ ফেব্রুয়ারি মামলাটি করেন।