শ্রীবরদীতে শিশু শিক্ষার্থী বলাৎকার : অবশেষে সেই লম্পট শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় অবশেষে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সেই লম্পট মাদ্রাসা শিক্ষক মহসিন মিয়ার (২৫) বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার ৫ দিনের মাথায় ১৩ মার্চ শুক্রবার রাতে নির্যাতিত শিশু শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। তবে ঘটনার পর থেকেই লম্পট মহসিন গাঁ ঢাকা দিয়ে আছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার জালকাটা এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক ও স্থানীয় দক্ষিণ ষাইটকাকড়া আক্তার মিয়ার ছেলে মহসিন মিয়া ৯ মার্চ সোমবার বিকেলে মাথা ও পা মালিশ করে দিতে ২০ টাকার প্রলোভনে একই মাদ্রাসার ৯ বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে বলাৎকার করে। ঘটনা শুনে তার পরিবারের লোকজন বিচার চাইতে লম্পট মহসিনের বাড়িতে গেলে সে গাঁ ঢাকা দেয়। মঙ্গলবার রাতে রক্তপাত ও প্রচন্ড ব্যথায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। বলাৎকারের ক্ষত নিয়ে হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে ওই শিশু শিক্ষার্থী। সেখানে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত ক্ষত ও ব্যথা সারার চিকিৎসা ছাড়া বলাৎকারের বিষয়ে তার কোন ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়নি। পরে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে অবগত হয়ে বাইরে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমকর্তা ডাঃ এএফএম কামরুজ্জামানের নির্দেশে রাতেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু স্থানীয় অশুভ মহলের চালবাজীর শিকার ও লাজ-লজ্জার ধুম্রজালে পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে বাসায় চলে যান। ঘটনার বিষয়ে দৈনিক জনকণ্ঠে একটি প্রতিবেদন ছাপা হলে এলাকায় তা তোলপাড় সৃষ্টি করে। নড়েচড়ে উঠে স্থানীয় প্রশাসন। ফলে বিলম্বে হলেও আইনের মুখোমুথি হতে হচ্ছে লম্পট শিক্ষক মহসিন মিয়াকে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল হোসেন তরফদার ওই মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষক মহসিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।