‘সংলাপ কি আকাশে হবে?’ প্রধানমন্ত্রী

PMসংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখন উনি (খালেদা) সংলাপ সংলাপ করে যাচ্ছেন। ফোন করলে গালি শুনব। উনার ছেলে মারা যাওয়ার পর দেখতে গেলে ঢুকতে দেবে না। তাহলে সংলাপ কি আকাশে হবে? যার হাতে রক্ত, মানুষের পোড়া গন্ধ, যে মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না, যে জঙ্গিনেত্রী, তার সঙ্গে কিসের সংলাপ?’
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শনিবার দুপুরে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগুনে পুড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, তাদের জন্য তার সমবেদনা নেই। একটি কথাও নেই। আছে তার নেতাদের কথা। যারা জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ মারছে, তাদের সাধুবাদ দিয়েছেন। এটা স্পষ্ট যে, তিনি কী চান, আর কী করছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছেন। আসলে মানুষ হত্যাকারীরা তার কাছে অনেক বড়।’
খালেদা জিয়ার মামলার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগে তার আস্থা নেই। এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে, এ মামলা তো আমার আমলে হয়নি, হয়েছে ফখরুদ্দিনের আমলে।’
তিনি বলেন, ‘কোর্ট, আইন তার আপন গতিতে চলে। তিনি ৬৭ বার হাজিরার মধ্যে ৭ বার আদালতে হাজির হয়েছেন। শেষবার লাঠিসোটা, ক্যাডার বাহিনী সঙ্গে নিয়ে গেছেন।’
খালেদাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোর্টে সারেন্ডার করুন, এটাই কল্যাণ। তার স্থান ওখানেই। আত্মসমর্পণ না করলে আদালতের আদেশ মানতে সরকার বাধ্য হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বলেছেন মিডিয়া নাকি নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু মিডিয়াতো তার বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করেছে। মিডিয়ার স্বাধীনতা না থাকলে ফেরারি আসামির প্রেস কনফারেন্সে মিডিয়া গেল কিভাবে? তিনি নাকি অবরুদ্ধ, তাহলে তার প্রেস কনফারেন্সে এতগুলো মিডিয়া কিভাবে গেল? এতগুলো ক্যামেরা কিভাবে ঢুকল ওখানে?’
তিনি বলেন, ‘আসলে যার শুরু মিথ্যায়, তার সবটাই মিথ্যায় ভরা। তিনি উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে চেয়েছেন। হিটলার বেঁচে থাকলে তার গোয়েবলসও এ মিথ্যাচার দেখে লজ্জা পেতেন।’
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সময় প্রধানমন্ত্রীকে খালেদার বাসভবনে ঢুকতে না দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘কুকুর কামড়ালে তো আর আমি কুকুরকে কামড়াতে পারি না।’
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দীন আহমেদের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সালাহউদ্দীন আহমেদ তো তার কার্যালয়েই ছিল। ওখান থেকে ডিসিসি ৮ বস্তা ময়লা পেয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ওই ময়লার বস্তা দিয়েই সালাহউদ্দীনকে পাচার করে দিয়েছেন কিনা? আর তারপরই তিনি (খালেদা) সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন। আর সালাহউদ্দীনের নামে তো মামলাও ছিল। এর জবাব খালেদা জিয়াকেই দিতে হবে।’
মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব দীর্ঘদিন পর লোক নিচ্ছে, মালয়েশিয়া বাংলাদেশী শ্রমিকদের বৈধতা দিয়েছে। তিনি (খালেদা) অপকর্ম করে যান, আর আমাদের সেই ময়লা সাফ করতে হয়।’
বর্তমান সরকারের সফলতা বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। জাতিসংঘের মহাসচিবও বলেন আমরা উন্নয়নের মডেল। আর তিনি শুধু ব্যর্থতা দেখেন। আসলে তার চোখের পাওয়ার ঠিক করতে হবে। আমাদের ব্যর্থতা এক জায়গায়— সেটা হচ্ছে আমরা তার মতো চুরি করতে পারি না।’

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend