বিএনপি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে : কামরুল
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কোনো শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ কিংবা বিএনপি নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে নেই। উনি যে সাধারণ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছেন, এর সঙ্গে কেউ নেই। বিএনপি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার দুপুরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে যুব মহিলা লীগ এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে আসার সুযোগ নেই। জঙ্গিদের সাথে উনি সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তাই জঙ্গিদের ছাড়লে সেই জঙ্গিরাই তাকে হত্যা করবে।’
জনরোষের কারণে খালেদা জিয়া আদালতে যান না উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে হত্যার জন্য তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘উনি (খালেদা) হরতাল-অবরোধের তামাশা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একদিকে উনি মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেননি দাবি করছেন। অন্যদিকে উনি বলেছেন, উনার দাবি মেনে নিলে সন্ত্রাস বন্ধ হবে। এতে বোঝা যায় মানুষ পুড়িয়ে কারা হত্যা করছে।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইনের হাত অনেক প্রশস্থ। খালেদাকে গ্রেফতার করা সময়ের বিষয়। আইন আমলে আসলেই উনি গ্রেফতার হবেন। এই পশুদের বাংলার মাটিতে বিচার হবেই। বাংলার মানুষ এদের ক্ষমা করবে না।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বিএনপির জন্ম খুন-অস্ত্রের মধ্য দিয়ে। তাদের চরিত্র বদলায়নি। দেশে সকল ষড়যন্ত্রের কার্যক্রমে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ঠিক সেই সময় তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ নস্যাৎ করার জন্য সজিব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ-হত্যার ষড়যন্ত্র করছে।’
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যদি ষড়যন্ত্র-সন্ত্রাসের পথ পরিহার না করে তবে তাদের বিচার করা হবে। গত দুই মাস ধরে মানুষ হত্যার দায়ে তাদের বিচার আমরা করবই।’
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রমুখ।