প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছে ৫৪ হাজার ৪৮১ জন
পঞ্চম শ্রেণীর ২০১৪ সালের প্রাথমিক বৃত্তির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। মোট বৃত্তি পেয়েছে ৫৪ হাজার ৪৮১ শিক্ষার্থী। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তির ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রবিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বৃত্তির ফল ঘোষণা করেন।
বৃত্তি বণ্টনের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ট্যালেন্টপুলে (মেধাবৃত্তি) ২১ হাজার ৯৮৩ জন বৃত্তি পেয়েছে। এরমধ্যে ১০ হাজার ৯৪১ জন ছাত্র ও ১১ হাজার ৪২ ছাত্রী। সাধারণ কোটায় বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৪০৭ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১৫ হাজার ৭০১ জন ও ১৫ হাজার ৭০৬ জন ছাত্রী।
সম্পূরক বৃত্তি পেয়েছে এক হাজার ৯১ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৫৪৭ ও ছাত্রী ৫৪৪ জন। যে ইউনিয়নে নির্ধারিত মান অনুযায়ী বৃত্তি দেয়ার মতো শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। পাশ্ববর্তী অন্য ইউনিয়ন থেকে শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি দেওয়ার মাধ্যমে কোটা পূরণ করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে সর্বোচ্চ বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ১৪৫ জন বৃত্তি পেয়েছে। পর্যায়ক্রমে পরবর্তী অবস্থনে রয়েছে- শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বৃত্তি পেয়েছে ৮৫ জন), আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৭৬), ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় (৬১), ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (৫৩), জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৫২), ময়মনসিংহ জিলা স্কুল (৫০), আহম্মদ উদ্দিন শাহ শিশু নিকেতন স্কুল (৪৯), বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৪৪) ও বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয় (৪৩)।
মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফল দুপুর ২টা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) থেকে সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া ফলাফল মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে জানা যাবে। যে কোন google play store থেকে primary terminal Result লিখে সার্চ দিলে এ্যাপসটি পাওয়া যাবে। এছাড়া যে কোন এনড্রয়েড মোবাইল থেকে https://play.google.com/store/apps/details?id=com.coderainbd.primaryterminalresult এই লিঙ্কে গিয়েও বৃত্তির ফলাফল জানা যাবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এর আগে পঞ্চম শ্রেণীর কিছু সংখ্যক নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আলাদা পরীক্ষা নিয়ে বৃত্তি দেওয়া হলেও ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। এতে পঞ্চম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থী বৃত্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
‘ট্যালেন্টপুল বৃত্তির হার মাসিক ২০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তির ক্ষেত্রে বৃত্তির হার মাসিক ১৫০ টাকা। বৃত্তির মেয়াদ উভয় ক্ষেত্রে তিন বছর। এছাড়া বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেককে প্রতি বছর এককালীন ১৫০ টাকা করে দেওয়া হয়’ বলেন গণশিক্ষা মন্ত্রী।
ঝরেপড়া রোধে আনন্দ স্কুল (রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন-রস্ক) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রস্ক প্রকল্পের আওতাধীন আনন্দ স্কুল হতে সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩০ হাজার ৪৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩ জন বৃত্তি পেয়েছে। সারাদেশে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ৩ হাজার ৫৬৩ জন উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ জন বৃত্তি পেয়েছে।’