সবার প্রত্যাশা একটাই— ভারতকে হারাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের ময়দানী লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এখন ভারত। আগামী ১৯ মার্চ মেলবোর্নে আসরের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি ঘিরে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে কথার লড়াই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সরব হয়ে উঠেছে দুই দলের সমর্থকরা। শুধু কি সমর্থকরা! বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে ভারতীয় মিডিয়াগুলোও। তবে কথার লড়াই যতই চলুক না কেন, মাঠের পারফরম্যান্সে হবে আসল ফয়সালা। এর আগে বাংলাদেশের সমর্থকরা বুক বেঁধেছেন ভারতের বিপক্ষে জয়ের আশায়।
মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারতকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিবে মাশরাফিক বিন মর্তুজারা— এমনই স্বপ্ন এখন বাংলাদেশী ভক্তদের।
বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মনে এখন শুধু একটাই প্রার্থনা, আগামী ১৯ মার্চ ভারতের বিপক্ষে যেন লাল-সবুজের জয় হয়। আর এই ম্যাচ উপভোগের জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু হয়ে গেছে ভক্তদের।
পেশাজীবীরা যে যার মতো ব্যস্ত নিজ নিজ কাজ নিয়ে। এই ব্যস্ততার মধ্যেই তারা সময় করে খেলা দেখার ঘোষণা দিয়েছেন। যে কাজই থাকুক না কেন বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে টিভি সেটের সামনে বসে খেলা দেখবেন তারা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সুখ্যাতি আছে ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে। তিনি নিজেও বিশ্বাস করেন যে, বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাবে। গত বুধবার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী তার এই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে। এ জন্য আমি জাতীয় সংসদের সব সদস্যের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বাংলাদেশ ৩ ম্যাচে জয়ী হয়েছে। এক ম্যাচ টাই হয়েছে। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে। আশা করি, কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলবে। এ জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’
টিভির সামনে খেলা দেখবে বলে অনেকে আবার পুরনো টিভি বাদ দিয়ে নতুন টিভি কিনেছেন। এদের একজন পেশায় চিকিৎসক, নাম ফারজানা আমিন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের নতুন সংসার। এখনো সবকিছু গুছিয়ে উঠতে পারিনি। তার পরও বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ; দ্রুত টিভি কিনলাম। শুধুমাত্র বাংলাদেশের ম্যাচগুলো উপভোগ করব বলে।’
ফারজানা আমিনের মতো অনেক ক্রিকেট ভক্তই ঘরে ঘরে পাওয়া যাবে। এমনকি রিকশা চালিয়ে কিংবা দিনমজুরি করে যাদের জীবন কাটে সেই তারাও বাংলাদেশের ম্যাচ মিস করতে চান না। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ম্যাচ উপভোগ করতে আনন্দ তাদেরও। বর্তমানে সবারই একটাই প্রত্যাশা— ভারতকে হারাবে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশের সমর্থদের সবার প্রত্যাশা প্রায় একই রকম। ১৬ কোটি বাংলাদেশীর প্রতিনিধি হয়ে ক্রিকেট দলকে শুভ কামনা ও প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন কিছু পেশাজীবী ক্রিকেট-সমর্থক।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট ড. তারেক শামসুর রেহমান মনে করেন, ভারতকে হারানোর সামর্থ বাংলাদেশের আছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের ছেলেরা কোনো অংশেই ভারতের চেয়ে কম নয়। মাহমুদউল্লাহ যেভাবে খেলেছে তাতে করে আমি বিশ্বাস করি, ভারতকে হারানোর সামর্থ টাইগারদের আছে। কোয়ার্টার ফাইনালে সে প্রমাণ তারা রাখবে।’
র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান মনে করেন, আমাদের সম্ভাবনা আছে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার। তিনি আরও বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে ক্রিকেট খেলছে তাতে করে এমন আশা করতেই পারি। এই বিশ্বকাপের আগে থেকেই বাংলাদেশ ভাল ক্রিকেট খেলছে। এর ধারাবাহিকতায় তারা বিশ্বকাপেও ভাল খেলছে। আমার বিশ্বাস এমন ক্রিকেট খেললে শুধু ভাল ক্রিকেট নয়, আমাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে।’
রবীন্দ্র গবেষক ও ক্রিকেট বিশ্লেষক প্রফেসর নুরুল আনোয়ার। তিনি ভারতের সঙ্গে ম্যাচ নিয়ে খুব আশাবাদী নন। তবে সুযোগ আছে বাংলাদেশের— এমনটাই মনে করছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘একদিনের ক্রিকেটে কোনো দলই শক্তিশালী নয়। যে কেউই ম্যাচ জেতার ক্ষমতা রাখে। এই ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে বড় স্কোর গড়তে হবে। রিয়াদ, সাব্বির ও সৌম্যকে পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে হবে। যাতে করে স্কোর বোর্ডে ভাল রান উঠে।’
নায়করাজ রাজ্জাকও সেমিফাইনালে খেলার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুবই আশাবাদী। কোয়ার্টার ফাইনালে জিতবে বাংলাদেশে, এটা আমার বিশ্বাস। নিউজিল্যান্ডের ম্যাচে যা হয়েছে তাতে আমি আশার আলোই দেখেছি। এমন হারও তো আনন্দের। ভাল খেলে হারলেও আনন্দ পাই। বাংলাদেশ টিমের সবাই বেশ উজ্জীবিত। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা যদি ধরে রাখতে পারে, তবে বাংলাদেশ ফাইনাল খেললেও খুব একটা অবাক হব না। কারণ বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর সেরা দলগুলোর মতোই খেলছে।’
সকালের খবরের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক আরিফুর রহমান বাবু মনে করনে ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অসাধারণ ক্রিকেট খেলতে হবে। তিনি বলেছেন, ‘সম্মিলিতের পারফরম্যান্সের আগে তামিমের জ্বলে উঠাটা গুরুত্বপুর্ণ। সৌম্য-রিয়াদের ধারাবাহিকতা, বিশেষ করে সাকিব-মুশফিকের জ্বলে উঠা প্রয়োজন এ ম্যাচে। সাকিবের শুধু ব্যাটেই নয়, বলেও দুর্দান্ত একটা স্পেল করতে হবে, তাহলেই ম্যাচ জেতা সম্ভব হবে। অন্যথায় ভারতের বিপক্ষে জয় সম্ভব নয়।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘ভারত শক্তিশালী ও গোছালো দল। যে দলে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, আজাঙ্কে রাহানে, শেখর ধাওয়ান কিংবা ধোনির মতো ক্রিকেটার আছে এমন দলের বিপক্ষে জয় লাভ করা সত্যিই কঠিন। ভারতের ব্যাটিংটা এমনিতেই বাংলাদেশকে ভাবিয়ে তুলেছে। সেই সঙ্গে বর্তমানে ভারতের পেস আক্রমণটা অসাধারণ হচ্ছে। আর এটাই ভাবিয়ে তুলবে বাংলাদেশকে। সামি, যাদব ও মোহিত শর্মা অসাধারণ বোলিং করছে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের রবীন্দ্র জাদেজা ও অশ্বিনকে টার্গেট করতে হবে বেশি রান তোলার ক্ষেত্রে।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের বিশ্বাস, বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে সেমিফাইনালে যেতে পারবেন। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘ভারত শেষ ২টি ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যেভাবে খেলছে তাতে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। ভারতের বিপক্ষে ২৮০ প্লাস রান করতে পারলে জেতা সম্ভব। ওরা খুব বেশি চাপে থাকবে ওই ম্যাচে। আমাদের বোলিং আক্রমণ অনেক ভাল। আশা করি, ভারতকে আটকে রাখা সম্ভব হবে, আমি ৭৫ ভাগ নিশ্চিত।’
ক্রিকেট সাপোটার্স এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল জাবেদ আলী। তিনিও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের জয়ের ব্যাপারে। তিনি বলেছেন, ‘এর আগে ভারতের বিপক্ষে আমরা ২টি জয়ই পেয়েছে স্বাধীনতার মাসে। এবারও আমি নিশ্চিত আমরা জয় পাব। আমি আত্মবিশ্বাসী, দলের সবাই নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলবে এবং ভারতের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে আনবে।’
পেশায় চিকিৎসক ফারজানা আমিন লিজা মাশরাফিদের কাছে প্রত্যাশার কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘টিম বাংলাদেশের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল অনেক। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার মাধ্যমে যার অনেকটাই পূরণ হয়েছে। তবে মানুষের স্বপ্ন যে আকাশ সমান বড়, এর শেষ নেই। তাই আমাদের দৃষ্টিতে এখন আকাশ চলে এসেছে। আমি আশা করি, আমরা ভারতকে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাব। নতুন ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের অদম্য টাইগাররা।’
জি এফ জি ইন্টারন্যাশনালে সহকারী মার্চেন্ডাইজার হিসেবে কর্মরত আছেন মাসুদ রানা। তার বিশ্বাস বাংলাদেশ অবশ্যই জিতবে। তার প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ খুব ভালভাবেই জিতবে। যদিও ভারতের চেয়ে আমরা একটু পিছিয়ে। তার পরও কেন যেন মনে হয়, বাংলাদেশের টিম স্পিরিট দলকে জিতিয়ে দেবে।’
ইউনিলিভারের ট্যারিটরি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন মাইদুল ইসলাম জনি। ক্রিকেটের বেজায় ভক্ত তিনি। পড়াশুনার সময়টায় ক্রিকেটও খেলেছেন নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে। চাকরির সুবাদে হয়তো এখন ব্যাট-বল হাতে নেওয়া হয় না। কিন্তু মনটা পড়ে থাকে ক্রিকেট মাঠেই। তার প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘খুব ভাল খেলবে বাংলাদেশ। ভারত চাপে থাকবে। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই। এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর দলটি। এই দলের বিপক্ষে বিশ্বের যে কোনো দলই নাস্তানাবুদ হতে পারে। আমার বিশ্বাস, ১৯ তারিখ মেলবোর্নে কঠিন লড়াইয়ে মুখে পড়বে ভারত। হারুক আর জিতুক, বাংলাদেশের সঙ্গে সব সময় আছি এবং থাকব।’
নবারপুরের ব্যবসায়ী মো. শাকিল। ম্যাচের দিনে ব্যবসায় লস কিংবা লাভ নিয়ে চিন্তা করনে না তিনি। টিভি সেটের সামনে বউ-বাচ্চা নিয়ে বসে পড়েন খেলা দেখতে। তার কাছে ১৯ মার্চের ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় ম্যাচ। তিনি বলেছেন, ‘এটা ২ দলের জন্যই বাঁচা-মরার লড়াই। দুই দলই নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়াই করবে। তাই ম্যাচটা কঠিন হবে। আমার মনে হয়, আমাদের চেয়ে ভারত বেশি চাপে থাকবে। আমাদের দলের ওপনিং জুটি ১০ ওভার কন্টিনিউ করতে পারলে দলের জন্য বড় স্কোর গড়া সম্ভব হবে। মাশরাফিকে আগের মতোই আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্ব করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) কর্মরত আছেন মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি দলের পারফরম্যান্সে অনেক খুশি। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি ভালবাসা অনুভব করছি। তারা আমাদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। আশা করি, তারা সামনের ম্যাচেও ভাল খেলা উপহার দেবে। তাদের জন্য শুভ কামনা রইল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তারা নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করবে।’
সিটি ব্যাংকের সহকারী ম্যানেজার ফুয়াদ আফসার। ক্রিকেটের বেজায় ভক্ত তিনি। সুযোগ পেলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার প্রত্যাশার কথা জানান দেন। বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচ নিয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেছেন, ‘আশা করি, ভারতের বিপক্ষে জয় পাব। সাকিবকে বল ও ব্যাট হাতে সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। তামিমকে অবশ্যই জ্বলে উঠতে হবে। আগের ম্যাচের গ্যাম প্লান এই ম্যাচের থেকে ভিন্ন করে নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হবে।’
জুরাইন আশরাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) হিসেবে কর্মরত আছেন মো. আশরাফ আলী। বাংলাদেশের এমন জয়গুলোতে একজন বাংলাদেশী হিসেবে তিনি গর্ববোধ করেন। তিনি বলেছেন, ‘বাস্তব চিন্তা করলে ম্যাচটা একটু কঠিন মনে হয়। তার পরও টাইগাররা যেমন ক্রিকেট খেলছে, তাতে করে জয় পাওয়া সম্ভব। ছোট-খাটো ভুলগুলো যদি না করে, বাংলাদেশের পক্ষেই ম্যাচ থাকবে।’
বেসরকারি একটি ব্যাংকে কর্মরত আছেন কাজল কেয়া। তিনি ক্রিকেটের একনিষ্ঠ ভক্ত। তার প্রত্যাশা, বাংলাদেশে যেভাবে ক্রিকেট খেলছে তাতে করে ভারতকে কোণঠাসা করতে পারবে। জয় পাওয়া বাংলাদেশের জন্য অসম্ভব নয়।
ওডেস্কে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছেন বদরুদ্দোহা রনি। তিনি তার প্রত্যাশার কথা বলেছেন, ‘অনেক কঠিন হবে জেতাটা। তার পরও মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ জিতবে এবং ভাল ক্রিকেট খেলবে। আমি মনে করি, ইমরুলকে বাদ দিয়ে সৌম্যকে ওপেন করিয়ে অতিরিক্ত একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নাসিরকে খেলানো যেতে পারে। ভারতের জন্য এই কম্বিনেশনটা কাজে হবে। জয়-পরাজয় যাই হোক, আমরা বাংলাদেশের পক্ষেই স্লোগান দেব। গো টাইগার গো।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি মাস্টার্স শেষ করা স্মৃতি রায় তার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশী হিসেব অবশ্যই চাইব, বাংলাদেশ যেন ভারতকে গুঁড়িয়ে দিয়ে জয় ছিনিয়ে আনতে পারে। আমার বিশ্বাস, মুশফিক-তামিমরা এটা খুব ভালভাবেই করতে পারবে।’
শনির আখড়ায় থাকেন রিকশাচালক জমির মিয়া। ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে চাইলে খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বললেন। সঙ্গে পকেট থাকা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাও বের করে প্রতিবেদককে দেখালেন। তিনি বলেছেন, ‘এই পতাকা পুরা দুনিয়ারে দেখাইতে মাশরাফিরা যুদ্ধ করতাছে। আমরা সবাই তাগো জন্য দোয়া করতাছি। আমার মনে হয়, আমাগো জয় হুইবো। তয় হুনছি ইন্ডিয়ারে নাকি সুবিধা দেওয়ার লাইগ্যা কি সব করতাছে। কিন্তু কিছুই করবার পারেব না। মাহমুদউল্লাহ আগের ম্যাচের লাহান এই ম্যাচেও আন্ড্রেড (সেঞ্চুরি) করব; আমরা ম্যাচ জিতুম।’