‘টাকার বিনিময়ে নাশকতার তথ্য সরবরাহ করেন কয়েকজন সাংবাদিক’ -পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার
বেশ কয়েকজন সাংবাদিক টাকার বিনিময়ে ও মতাদর্শগত কারণে নাশকতার চিত্র ও তথ্য সরবারহ করেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
সোমবার রাজধানীতে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।
ওই সাংবাদিকদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে দাবি করে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, তাদের মধ্যে বেশীরভাগ অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক নাশকতার তথ্য নিজেদের মিডিয়া হাউসে দেওয়ার আগেই বাঁশের কেল্লার মতো ফেসবুক পেজে দিয়ে থাকেন। অনেকে দলীয় মতাদর্শগত কারণে ও টাকার বিনিময়ে এ কাজটি করেন। তাদের কয়েকজনকে আমরা শনাক্ত করেছি।’
ওই সংবাদকর্মীদের অপেশাদার হিসেবেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ১০-১২ জনের নাম পেয়েছি। তবে এদের সংখ্যা আরও বেশী হতে পারে। আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’
ফেসবুক পেজ বাঁশের কেল্লার এডিটোরিয়াল এ্যাডমিন এম জিয়া উদ্দিন ফাহাদকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ফাহাদ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রচার বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক বলেও দাবি করে তারা।
এর পরদিন শুক্রবার সকালে প্রেস বিফ্রিং করে পুলিশ। সেই প্রেস ব্রিফিংয়ের ১২ মিনিটের মাথায় বাঁশের কেল্লা পেজে পোস্ট দেওয়া হয়, জিয়াউদ্দিন ফাহাদ তাদের কেউ নয়।
এ প্রসঙ্গে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রেস ব্রিফিংয়ের ১২ মিনিটের মাথায় যিনি ওই পোস্টটি দিয়েছেন, তিনি শিগগিরই ধরা পড়বেন বলে আমরা আশাবাদী। আমরা তাকে শনাক্ত করেছি। তাকে আমরা গ্রেফতার করতে পারব।’ বাংলাদেশ থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ২০১০ সাল থেকে এদের আইটির ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকে বেতনভুক্ত ও ফুলটাইম কর্মী আছে বলেও এ সময় জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাঁশখালীর সুলতানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফাহাদের বাবা খন্দকার ছমিউদ্দিনের বিরুদ্ধে পাহাড়ে যে এলাকা থেকে অস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল সেই এলাকা লিজ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফাহাদও ওই এলাকায় যাতায়াত করতেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। এ জন্য তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’