এ দিনেই তো হেরেছিল ভারত
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত-বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি ১৯ মার্চ; এর ঠিক ৩ দিন আগে বাংলাদেশের জন্য প্রেরণা হয়ে এসেছে ১৬ মার্চ। ৩ বছর আগে এই দিনেই ঢাকার মাটিতে ক্রিকেটের মহাৎসবে মেতেছিল পুরো বাংলাদেশ। সেই উৎসবের উপলক্ষ ছিল এশিয়া কাপ ক্রিকেটের একটি ম্যাচ। যে ম্যাচে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ; ঘটনা ২০১২ সালের।
বাংলাদেশে বসেছিল এশিয়া কাপ ক্রিকেটের একাদশতম আসর। টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে ১৬ মার্চ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত। টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশের তখনকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন ‘লিটল মাস্টার’ শচিন টেন্ডুলকার; খেলেছেন ১১৪ রানের ইনিংস। এই সেঞ্চুরি আবার যেন-তেন সেঞ্চুরি নয়, শচিনের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি ছিল এটি। শচিনের পর বিরাট কোহলি করেছেন ৬৬ আর সুরেশ রায়না তুলে নিয়েছেন ৩৮ বলে ৫১ রান। সঙ্গে যোগ হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির ১১ বলে ২১ রানের সংক্ষিপ্ত ঝড়। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল ভারত। ভারতীয় সমর্থকরা জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছেন বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামার আগেই। কেননা, প্রভিন কুমার, ইরফান পাঠান, রবিন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন আশ্বিনের বিপক্ষে ব্যাট করে বাংলাদেশ যে এই রান তুলতে পারবে না! কিন্তু ম্যাচশেষে মলিন ভারতের হাসি।
বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ৭০ রানের ইনিংস খেলেছেন। বর্তমানে স্মৃতির অন্তরালে চলে যাওয়া জহুরুল ইসলাম অমি করেছেন ৫৩ রান। আর অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ৫৮ বলেই করেছেন ৫৪ রান। সঙ্গে সাকিব আল হাসানের ৩১ বলে ৪৯ এবং মুশফিকের ২৫ বলে হান না মানা ৪৬ রানের ইনিংস। ব্যস! ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দম্ভ চূর্ণ ভারতের!
আগামী বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। নিঃসন্দেহে ওই ম্যাচের আগে ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের এই জয়টি মাশরাফিদের প্রেরণা দিবে। যদিও বাংলাদেশের কোচ হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘অতীতের কথা তুলে লাভ নেই। নির্দিষ্ট দিনে ৭টি ঘণ্টা ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে, এটাই বড় কথা।’
মেলবোর্নে ধোনিদের বিপক্ষে ভাল ক্রিকেট খেলতে তাই সোমবার মেলবোর্নের মাটিতে কঠোর অনুশীলন করে দিন কাটিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।