ডুমিনির নীরব হ্যাটট্রিক
ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জেপি ডুমিনি। তবে কীর্তি রচিত হওয়ার অনেকটা সময় পর সবাই উপলব্ধি করতে পেরেছেন সেই ইতিহাসের কথা। বুধবার চলতি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনার। ফলে চলতি আসরে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। তবে ডুমিনি ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি ঘটিয়ে। আর ইতিহাসের দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে বিশ্বকাপে এমন কাণ্ড করে দেখিয়েছেন তিনি।
স্পিনার হিসেবে বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব পাকিস্তানের সাকলাইন মুস্তাকের। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সাকলাইন।
ডুমিনির এই হ্যাটট্রিকের ঘটনাটিকে নীরব বলা হচ্ছে এর কারণ, তিনি যখন হ্যাটট্রিক করেছেন তখন কেউই, এমনকি তিনি নিজেও তা উপলবদ্ধি করতে পারেননি।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৩৩তম ওভারের শেষ বলে লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে আউট করেছেন ডুমিনি। এরপর ৩৫তম ওভারের প্রথম বলে নোয়ান কুলাসেকারা ও দ্বিতীয় বলে অভিষিক্ত থিরান্দু কুসালকে আউট করেছেন তিনি। ফলে নিয়ামানুযায়ী তাই হ্যাটট্রিক হয়েছে ডুমিনির।
কুসালকে আউট করে ডুমিনি যখন উৎসব করেছেন তখন তিনি, তার সতীর্থরা কিংবা দর্শক-ধারাভাষ্যকাররা কেউই তখনো খেয়াল করেননি যে এটি হ্যাটট্রিক। পরবর্তীতে মাঠের পাশে থাকা বিশালকারা স্কোরবোর্ড দেখে বিষয়টি জানতে পারেন সবাই। ডুমিনিও উপলব্ধি করতে পারেন যে দারুণ এক হ্যাটট্রিকে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়েছেন তিনি।