মায়ে পুতে মিল্লা দেশটা খাইলো গিল্লা : মতিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘মায়ে পুতে মিল্লা দেশটা খাইলো গিল্লা’।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী হাইস্কুল মাঠে কৃষকলীগ আয়োজিত কৃষক সমাবেশে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন-বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া মুখে মেকআপ মেরে, মাথায় চুল ফুলিয়ে জনগণের সামনে আসেন। স্বামী ও ছেলের মৃত্যুতে তার চোখে পানি আসে না। অথচ ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়ার সময় তার চোখে পানির অভাব ছিল না।
তিনি আরও বলেন-ক্ষমতায় থাকাবস্থায় খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা মেরে খেয়েছেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এখন তিনি গুলশানের বাসভবনে স্বেচ্ছায় বন্দি থেকে তার দলীয় লোকজন দিয়ে একের পর এক পেট্রোলবোমা ও গান পাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। এজন্য একদিন তাকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন-নির্বাচনের আগে আমরা বলেছিলাম আপনারা (দেশবাসী) নৌকায় যদি ভোট দেন, তাহলে দেশে সার তেলের কোন অভাব হবে না। আপনারা আমাদের কথা রেখেছেন। তাই শেখ হাসিনার সরকারও আপনাদের কথা রেখেছে।
আমরা ক্ষমতায় গিয়ে দেশে পর্যাপ্ত সার তেলের পাশাপাশি উন্নমানের বীজ সরবরাহ করছি। কৃষক আজ উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল পাচ্ছেন। দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৪৪ বছর। দীর্ঘ এই চার দশকের বেশি সময় পরেও দেশে কোন খাদ্য ঘাটতি নেই। আমরা বর্তমানে দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য সংরক্ষণে রেখেই বিদেশে খাদ্য রফতানি করছি। আলু, চিংড়ি, সবজি রফতানি করছি। ইতোমধ্যে মুরগীর মাংস বিদেশে রফতানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অবহেলিত ভুট্টা এখন খাদ্য ঘাটতির অভাব পূরণ করছে।
বিদ্যুত প্রসঙ্গে তিনি বলেন-দেশে এখন বিদ্যুতের কোন সংকট নেই। আর কদিন পরেই বিদ্যুতের কোন অভাব থাকবে না। তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়ার জন্য বিদ্যুতের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্না দেবে।
কৃষক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কৃষকলীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, জামালপুর ৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচিত এমপি, পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা, জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের এমপি ফরিদুল হক খান দুলাল, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাকি বিল্লাহ, সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক জাহেদী রবিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ একেএম হাবিবুর রহমান চাঁন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।