‘সরকার বিরোধী দল-মতের জনগণকে কবরে পাঠাচ্ছে’
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিল। আজ তারা সেই কবরের উপর দাঁড়িয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও বিরোধী দল-মতের জনগণকে কবরে পাঠাচ্ছে।
বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে ‘গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও মানুষ হত্যাকারী’ সরকারের হাত গুটাতে বাধ্য করতে চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘বিরোধী দল ও মতের নেতাকর্মীদের খুন, গুম, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও হয়রানি করে চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করার যে অপচেষ্টা সরকার চালাচ্ছে তা সফল হবে না।
তিনি বলেন, নির্যাতন-নিপীড়ন আন্দোলনকে সাময়িকভাবে স্থিমিত করতে পারলেও প্রকৃতপক্ষে তা বৃহত্তর আন্দোলনকে অনিবার্য করে থাকে। এটাই ইতিহাসের বাস্তবতা।
বুলু বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও সাইফুল ইসলাম হিরু, ঢাকার নির্বাচিত কমিশনার চৌধুরী আলম ও লাকসামের বিএনপি নেতা পারভেজের মত শত শত বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে গুম করার পর এবার সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির অন্যতম যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে সরকারি বাহিনী বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করছে। ইলিয়াস আলী পালিয়ে গেছে কিংবা সালাহ উদ্দিন আহমেদ নিজেই আত্মগোপন করেছেন— এমন কাল্পনিক গল্প বলার পাশাপাশি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে এ সব ঘটনা নিয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীন নিষ্ঠুর রসিকতা করা হচ্ছে। এতে দায়িত্ব পালনে সরকারের অমার্জনীয় ব্যর্থতার পাশাপাশি বিকৃত মানসিকতার প্রমাণ পেয়ে দেশবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে দেওয়া জনগণের রায় অগ্রাহ্য করার জন্য সরকার গাজীপুর, সিলেট ও রাজশাহীসহ অসংখ্য সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র এবং উপজেলা চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আটক করছে। রিমান্ডের নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য করে তাদের স্থলে দলীয় লোকদের বসানো শুরু করেছে। এমন অপকৌশলের ফলে আজ সারা দেশের মানুষের কাছে এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়েছে যে, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র মানে না, গণরায়ের পরোয়া করে না।