‘আ’লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে না চাইলে নির্বাচন দিন’ -বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ‘মানুষের কাতারে আওয়ামী লীগকে নিয়ে আসুন। আওয়ামী লীগকে যদি মানুষের মন থেকে নিশ্চিহ্ন করতে না চান, তাহলে নির্বাচন দিন।’
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী মতিঝিলে তার অবস্থান কর্মসূচির ৫০তম দিনে বুধবার সন্ধ্যায় এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রীকে এ আহ্বান জানান। তিনি ২৮ জানুয়ারি থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অফিসের সামনে সংলাপ ও অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের জেনারেল নিয়াজীকে বলেছিলাম, আপনি আত্মসমর্পণ করুন। আপনার সঙ্গে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী আপনি নির্বাচন দিন, আপনার দলের নেতাকর্মীদেরও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।’
কাদের সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এক সময় এমন দিন আসবে, যেদিন আপনি প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট, নির্বাচন কমিশনার, সেনাপ্রধান হয়েও নির্বাচিত হতে পারবেন না। তাই এখনো সময় আছে, আপনার দলকে বাঁচাতে চাইলে নির্বাচন দিন।’
এ ছাড়া মতবিনিময় সভা থেকে কাদের সিদ্দিকী আগামী শনিবার দুপুর ১২টায় তার পরবর্তী কর্মসূচি কি হবে তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন।
কাদের সিদ্দিকী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এখনো সময় আছে, আপনি অবরোধ প্রত্যাহার করুন। এই নির্বাচন বাংলার কেউ মানে না। আমরা নতুন নির্বাচনের দাবি আদায় করেই ছাড়ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। এই নির্বাচন বাংলার কেউ মানে না। এ দেশের মানুষ একবেলা না খেয়ে থাকলে তাদের কোনো কষ্ট হয় না। কিন্তু ভোট না দিতে পারলে তারা নির্বাচন মেনে নেবে না।’
কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার স্বামী ৫০ দিন যাবত ফুটপাতে রয়েছেন। জনগণের দাবি আদায়ের জন্য যদি আমার স্বামী ৫০ বছরও ফুটপাতে থাকেন তবুও আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি স্বামীর পাশে থাকব।’
অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, যুব আন্দোলন নেতা আতিকুর রহমান সাদেক, ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রিফাতুল ইসলাম দ্বীপ প্রমুখ।