মান্নার প্রাণহানির আশঙ্কায় পরিবার
পুলিশ হেফাজতে থাকা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রাণহানির আশঙ্কায় রয়েছে তার পরিবার।
সেগুনবাগিচার তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন মান্নার স্ত্রী মেহের নিগার।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি হওয়া থেকেই বোঝা যায় একজন অসুস্থ মানুষের সঙ্গে রিমান্ডের নামে কী ধরনের আচরণ করা হয়েছে। আমরা তার প্রাণহানির আশঙ্কা আছি। এ জন্য তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ারও আবেদন জানাচ্ছি।’
মান্নার স্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে পরপর দুটি মামলা দিয়ে তাকে ২০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ১০ দিনের প্রথম রিমান্ডের সময় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ ও ওষুধপত্র দেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। তার বুকে তিনটার অধিক ব্লক ধরা পড়েছে। সম্প্রতি গ্রেফতার ও মানসিক নির্যাতনের কারণে তার হার্টের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেছে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
মেহের নিগার সরকারের কাছে আবেদন করে বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে মান্নার শরীরের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সুচিকিৎসার জন্য বিনীত আবেদন জানাচ্ছি। আমরা তাকে কারাগারে হস্তান্তরের পর ডিভিশনের আবেদন জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্না আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং যে কোনো প্রকার আইনানুগ বিচারের সন্মুখীন হতে রাজি আছেন। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে ডাক্তারের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।’
আসন্ন ঢাকা সিটি নির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্না অংশ নেবেন কিনা- জানতে চাইলে এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন বলে না জানান মান্নার স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান মান্নার মেয়ে নিলম মান্না ছাড়াও নাগরিক ঐক্যের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২৩ ফেব্রুয়ারি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বনানী থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আটক করে বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। পরে ২১ ঘণ্টা পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ধানমণ্ডি থেকে মান্নাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় র্যাব। বর্তমানে মাহমুদুর রহমান মান্নার নামে দুটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারাধীন।