সালাহ উদ্দিনকে ফেরত না দিলে কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে দ্রুত তার পরিবারের কাছে ফেরত কিংবা আদালতে হাজির করার দাবি জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অন্যথায় ভবিষ্যতে এর জন্য সরকারকে কঠিন পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
রবিবার বিকেলে এক বিবৃতিতে সরকারের প্রতি এ হুঁশিয়ারি দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান গণমাধ্যমে এ বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম যুগ্ম-মহাসচিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ১২ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এখনও তাকে মুক্তি দেওয়া, আদালতে হাজির করা, এমনকি গ্রেফতারের কথা স্বীকার পর্যন্ত করা হচ্ছে না। এতে তার পরিবারের সদস্য, স্বজন, শুভানুধ্যায়ী, সহকর্মী ও দেশবাসীর মতো আমার উৎকণ্ঠাও সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে গ্রেফতার করার পর নিখোঁজ ও গুম করে ফেলা আওয়ামী সরকারের নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গ্রেফতারের কথা অস্বীকারের পর বিভিন্ন জায়গায় (২০ দলীয় জোটের) নেতাকর্মীদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনাও প্রায়শই ঘটছে। অনেকের পরিবার লাশটি পর্যন্ত ফেরত পায়নি।’
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপি নেতা সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলী, লাকসামের সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরু, ঢাকার নির্বাচিত কমিশনার চৌধুরী আলম এবং লাকসাম পৌর বিএনপি সভাপতি হুমায়ুন কবীর পারভেজের মতো অনেককে গ্রেফতারের পর তাদের গুম করা হয়েছে। দীর্ঘদিনেও তাদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।’
‘একটি সভ্য দেশে ক্ষমতার দখলদারি টিকিয়ে রাখার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এমন গেস্টাপো বাহিনীর মতো ব্যবহার করাকে কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
‘দেশে এখন কেউই নিরাপদ নয়। যে কেউ যে কোনো সময় গুম কিংবা খুন হয়ে যেতে পারেন’ উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বিবৃতিতে বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদের মতো একজন রাজনীতিবিদ এভাবে উধাও হয়ে যাবে আর ক্ষমতাসীনরা সেটা নিয়ে উৎকট রসিকতা করে পার পেয়ে যাবে, এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। আমি রাজনৈতিক নেতাকর্মী, মানবাধিকার সংগঠন, বিভিন্ন সমাজশক্তি ও সচেতন নাগরিকদের এ ব্যাপারে সোচ্চার হবার আহ্বান জানাই।’