পেট্রোলবোমায় প্রাণ গেল আরও চারজনের
২০ দলীয় জোটের অবরোধ ও হরতাল চলাকালে ট্রাকে পেট্রোলবোমা হামলায় প্রাণ গেল আরও চারজনের।
শনিবার রাতে মাগুরার মঘীরঢালে ও বুধবার রাতে চাঁদপুর সদরে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হন তারা। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসার পথেশনিবার রাতে একজন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে একজন ও বিকেলে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
মাগুরার মঘীরঢালে শনিবার রাতে ট্রাক থেকে বালু নামিয়ে ফিরে যাওয়া শ্রমিকদের ওপর পেট্রোলবোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকে থাকা ৯ শ্রমিক মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। তাদেরকে প্রথম মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হানপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। পথে রওশন আলী বিশ্বাস (৩৫) মারা যান। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল পৌনে ১২টায় মারা যান শাকিল মোল্লা (২০)।
বিকেল পৌনে ৫টায় মতিন বিশ্বাস (২৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, শাকিলের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৬৫ শতাংশ ও মতিনের শ্বাসনালীসহ ৫৬ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এ ঘটনায় দগ্ধ ইলিয়াস হোসেন (৩২), আরব আলী (৩৮), ইয়াদুল হোসেন (৩০), নাজমুল হোসেন (৩৫), ফারুক মিয়া (৩৫) ও ইমরান হোসেন (২৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ওই ছয়জনের সবার অবস্থায় আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের ৪৫ থেকে ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে।
এ ঘটনায় নিহত ও আহত সবার বাড়ি মাগুরা সদরের মালিগ্রামে।
এদিকে চাঁদপুরে গত বুধবার রাতে পেট্রোলবোমা হামলায় দগ্ধ ট্রাকমালিক খন্দকার শরিফুল ইসলাম (৩৫) রবিবার বিকেলে ঢামেক বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
ঢামেক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (বার্ন ইউনিট) পার্থ শঙ্কর পাল জানান, পেট্রোলবোমায় ট্রাকমালিক খন্দকার শরিফুল ইসলামের ৮৮ শতাংশ পুড়ে গেছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সোয়া ৩টায় তিনি মারা গেছেন।
গত ১৮ মার্চ চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ও রঘুনাথপুর এলাকায় বুধবার রাতে দু’টি পণ্যবাহী ট্রাকে পেট্রোলবোমা হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ট্রাকচালক জাহাঙ্গীর (৪০) দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। জাহাঙ্গীরের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায়। এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হন খোরশেদ (৩০), রুবেল (৩৮) ও শরিফ (৩৫)। রাতেই তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।