তৃপ্ত ৪ ক্রিকেটার
বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে রবিবার রাতে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সবাই তৃপ্ত; তবুও সবার মধ্যেই একটু আপসোস থেকে যাচ্ছে! ওই ম্যাচটি নিয়ে; ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফা্ইনালের ম্যাচ, যেখানে বাংলাদেশকে হতে হয়েছে আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার। তারপরও সব মিলিয়ে স্বপ্নের মতোই একটি বিশ্বকাপ মিশন শেষ হওয়া যারপরনাই খুশি প্রকাশ করেছেন দলের ৪ ক্রিকেটার। এদের একজন বিশ্বকাপ মিশনের মাঝে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। যদিও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি একটি ম্যাচও। তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার, শফিউল ইসলাম ও আরাফাত সানি-এই ৪ ক্রিকেটার বিশ্বকাপের সুখময় স্মৃতির তৃপ্তি নিয়েই দেশে ফিরেছেন।
তাসকিন আহমেদ স্বপ্নের মতোই বিশ্বকাপ শেষ করে ফিরেছেন। বিশ্বকাপ মিশনে সবগুলো ম্যাচই খেলেছেন তাসকিন; নিয়েছেন দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৯টি উইকেট। বিমান বন্দর থেকে নিজ গন্তব্যে ফেরার পথে তিনি জানিয়েছেন নিজের সন্তুষ্টির কথা, ‘যেমন লক্ষ্য ছিল তা পুরোপুরি সফল না হলে আমি সন্তুষ্ট। দেশের মানুষের প্রত্যাশা পুরণ করতে পেরেছি, অবশ্যই ভাল লাগছে।’
এদিকে সৌম্য সরকার জাতীয় দলের নতুন সেনশেসন। যিনি কিনা ভয়-ডরহীন ভাবে বুকি চিতিয়ে প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ রুখে দিয়েছেন। বিমানবন্দর লাউঞ্জে সৌম্য বলেছেন, ‘চেষ্টা করেছি দলের জন্য অবদান রাখার। তবে আরও ভাল করতে পারলে ভাল লাগত।’
একটু বয়স করেই দলে সুযোগ পেয়েছেন আরাফাত সানি। তাই তো বিশ্বকাপটা তার কাছে বড় স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন পুরণ হওয়ায় খুশি আরাফাত সানি। অবশ্য পুরো বিশ্বকাপে একটি মাত্র ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়েছে তার। বিমান বন্দর ত্যাগ করার পথে তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতাটা অসাধারণ। সবার চেষ্টায় মিলে টিম ওয়ার্ক ছিল দারুণ। এর কারণেই আমাদের সফলতাটা এসেছে।’
বিশ্বকাপের মাঝে সুযোগ পেয়েছিলেন শফিউল ইসলাম। যদিও একটি ম্যাচেও মাঠে নামা হয়নি তার। এরপরও দলের সঙ্গে থাকতে পেরে; বিশ্বকাপ মিশনের দলের সঙ্গী হতে পেরে বেশ খুশি শফিউল। দলের পারফরম্যান্সে তিনি ভীষণ গর্বিত।শফিউল বলেছেন, ‘খুব ভাল লাগছে, দেশের মানুষের প্রত্যাশা পুরণ করতে পেরে। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।’