শেরপুরের বহু অপকমের হোতা ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুদকের আবারও মামলা
স্টাফ রিপোর্ট ॥ শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আবারও গত ৮ মার্চ/১৫ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা দায়ের করেছে। এবার মামলাটি করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে টাঙ্গাইলের উপ-পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক বাদী হয়ে। রমনা মডেল থানার মামলা নং-০৯, তাং ৮ মার্চ ২০১৫।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার স্মারক নং- দুদক/ অনু: ও তদন্ত-১/ অনু: ৩২২/ শেরপুর/ ২০১৪/ ৬৯০৭, তারিখ ৪/৩/১৪ মূলে দুর্নীতি দমন কমিশন, বিভাগীয় কার্যালয়, ঢাকার স্মারক নং দুদক/ বিকা/ ঢাকা/ ১৩-২০১৪/ অনু:/ টাঙ্গাইল/ ৭২৩ তারিখ ২৪/৩/২০১৪ এর নির্দেশক্রমে মোঃ নুরে আলম সিদ্দিকী, চেয়ারম্যান, ১২নং কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, শেরপুর এর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, টাঙ্গাইলের ই/আর নং ২০/২০১৪, তারিখ ২/৪/২০১৪ ভুক্ত করে প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে, স্বনামে/ বেনামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশন, তার প্রতি সম্পদ দায় দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ দেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, টাঙ্গাইলের স্মারক নং দুদক/ সজেকা/ টাঙ্গাইল/ ২৪৭২ তারিখ ৭/১২/২০১৪ মারফত সহকারী পরিদশক নিশীথ কুমার ঘোষ, দুদক, সজেকা, টাঙ্গাইল তার নামে ইসুকৃত সম্পদ বিবরণী ফরম নং ০০০১৭০০ (তিন পাতা) তাকে বুঝিয়ে দিলে উক্ত পত্রের অফিস কপিতে ২৩/১২/২০১৪ তারিখে সীলসহ স্বাক্ষর দিয়ে সংযুক্ত ফরম নং ০০০১৭০০ (তিন পাতা) বুঝিয়া পাইলাম লিখে সম্পদ বিবরণী ফরম গ্রহণ করেন। ৮ জানুয়ারী/১৫ তারিখে তিনি ৭ কর্ম দিবস সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করে ১৫ জানুয়ারী/ ১৫ তারিখের মধ্যে সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা বরাবরে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় অপরাধে দুর্নীতি দমন কশিন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় মামলাটি রুজ্জু করেন।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেও দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, টাঙ্গাইলের উপ-সহকারী পরিচালক কমল কুমার রায় বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম ও তার ভাই শফিকুল ইসলাম প্রোঃ শফিকুল এন্টারপ্রাইজসহ ইউপি সদস্য মোঃ বয়তুল্লাহ, মোঃ মোশারফ, মোছাঃ হাজেরা, মোঃ মালেক, মোছাঃ ইসমত আরা ও মোঃ আঃ রশিদ-এর বিরুদ্ধে গত ৪ ডিসেম্বর/১৪ ইং তারিখে শেরপুর সদর থানায় ৪০৯/ ৪২০/ ৪৬৭/ ৪৬৮/ ১০৯ দঃবিঃ তৎসহ ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণাপূর্বক জাল-জালিয়াতের মাধ্যমে কাগজপত্র সৃজন করিয়া অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করতঃ সরকারী ৬৪,০৫,৬৭৬.৭০ টাকা আত্মসাৎ করার অপরাধে ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ নং পৃথক পৃথক ৭টি মামলা দায়ের করেন। প্রতিটি মামলার ১নং আসামী চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী। উক্ত মামলায় তিনি জামিনে মুক্ত আছেন।
এছাড়াও নারী অপহরণ, গাড়ী ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, মাদক দ্রব্য পাচার ও সেবনসহ উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে শেরপুর সদর থানায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের উপ-সহকারী পরিচালক কমল কুমার রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পূর্বে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলাটিও তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
এ ব্যাপারে রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মশিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে স্বীকার করেন বলেন, বর্তমানে মামলাটি রেকর্ড হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হইবে