সর্বনাশা ইয়াবার ছোবল এখন শেরপুরে ; ইয়াবার ব্যবসায় ব্যবহৃত হচ্ছে নারীরা
রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা লাভের আশায়, বন্ধুদের প্ররোচনায় নেশার ট্যাবলেট ইয়াবা হাতে তুলে নিচ্ছে তরুণ সমাজের অনেকেই। আর নেপথ্যে থাকা হাতেগোনা ২/৩ জন গডফাদারদের কল্যাণে শেরপুর জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে মাদক ইয়াবার সর্বনাশা নেশা।
শেরপুরে জেলা শহর ও জেলা শহরের বাইরে নিজেদের নেপথ্যে রেখে যুবতী, তরুণী এমনকি বয়স্ক মহিলাদের ব্যবহার করছে ইয়াবা বিক্রির সাথে জড়িত মূল ব্যবসায়ীরা।
সম্প্রতিক পুলিশ ও র্যাবের হাতে জোসনা এবং পারভীন নামে দুজন মহিলা ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ সম্প্রতি ৪শ টি ইয়াবাসহ শেরপুর জামালপুর সড়কের পোড়ার দোকান এলাকা থেকে জোসনাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত জোসনা নিজেও ইয়াবাতে আসক্ত।
গ্রেফতার হবার পরই জোসনা বেশ কিছু নাম জানায় যারা এই ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। গডফাদারদের নাম না জানলেও যারা ইয়াবার বিক্রির সাথে জড়িত তাদের অনেকেরই সাথেই উঠাবসা আছে জোসনার। নেশাসক্ত অবস্থায় অসলংগ্ন ভাবে বললেও কয়েকজনের নাম উচ্চারণ করে জোসনা।
অন্যদিকে র্যাব শেরপুর পৌর শহরের চক পাঠক এলাকা থেকে পারভীন নামে এক মহিলাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। পারভীন ওরফে বিলকিসের মা নামে পরিচিত এই মহিলাকে র্যাব আটক করার আগ পর্যন্ত এলাকার অনেকেই জানতো না সে মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত।
এর আগে ডিবি পুলিশ মীরগঞ্জ থেকে পারভীন নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক বিক্রির অপরাধে।
এর আগে শেরপুর সত্যবতী সিনেমাহলের সামনে থেকে মাধবপুর ভূমি অফিস পর্যন্ত একটি চক্র বিক্রি করতো নেশা ইনজেকশন যা পরিচিত ‘টিটি’ নামে। এই চক্রের সাথে কাজ করতো ৩ যুবতী। একটি সূত্র জানায় এই চক্রটি এখন নেশার ইনজেকশন বাদ দিয়ে ইয়াবা বিক্রির সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে।
শেরপুরের গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ডিবি) নজরুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থা চেষ্টা করছে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরার জন্য। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি চেষ্টা সফলও হয়েছে।
তবে নারীদের ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত করার ফলে অনেক সময় পুলিশের অভিযানে নারীদের শরীর তল্লাশী করা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় পুলিশকে। ডিবিতে মহিলা কনস্টেবল বা কর্মকর্তা না থাকায় এমন অসুবিধায় পড়াটাই স্বাভাবিক। আর এ সুযোগ গ্রহন করেই মাদকের গডফাদাররা নারীদের মাদক ব্যবসার ক্ষেত্রে খুঁচরা ও ভ্রাম্যমান বিক্রেতা হিসাবে ব্যবহার করছে।