‘হিটলার-মুসোলিনিকেও হার মানিয়েছে সরকার’
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে রাষ্ট্রীয় শক্তির অপপ্রয়োগের মরণখেলায় মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
জোটটি আরও বলেছে, ‘শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নামে দেশব্যাপী বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর দমন নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে অবৈধ সরকার গদি রক্ষার জন্য হিটলার-মুসোলিনির কঠোরতাকেও হার মানিয়েছে।’
সোমবার সন্ধ্যায় ২০ দলীয় জোটের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু এ অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মধ্য দিয়ে হিটলার-মুসোলিনির গুপ্ত বাহিনীর আদলে দেশের ঐতিহ্যবাহী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে দেশকে চরম নৈরাজ্যকর অবস্থার মধ্যেও নিপতিত করেছে এ অবৈধ সরকার।’
বুলু বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবিলম্বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিসহ অন্যান্য গণদাবিতে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রাম চলছে। তখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণআন্দোলন স্তব্ধ করতে নিজেদের দলীয় লোকদের দিয়ে সাজানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে সারাদেশে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, অপহরণ ও নির্যাতন-নিপীড়নের মহোৎসবে মেতে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় রাজনীতিবিদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ১৩ দিন আগে অপহরণ করে নিখোঁজ রাখা হয়েছে। সালাহ উদ্দিনের পরিবার, দেশের সুশীল সমাজ, জনসাধারণ এবং দল ও জোটের শত আকুতিতেও সরকার এখনো পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান দিচ্ছে না।’
‘মনে হয় স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও আমরা যেন এক মগের মুল্লুকে বসবাস করছি’ বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করেন বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জেলায় যৌথবাহিনীর নামে বিশেষ বাহিনী বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের আটক করার পর তাদের মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে রাস্তার ধারে, খালে-বিলে, ডোবা-নালায়। কোনো কোনো লাশের পরিচয়ও মিলছে না।’
দেশে গুম, খুন, গুপ্তহত্যা ও অপহরণের যে ভয়াল সংস্কৃতি চালু করেছে সরকার তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কাছেও প্রমাণিত বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
দেশের স্বার্থে ও মানুষের কল্যাণার্থে সংলাপের মাধ্যমে বর্তমান সংকটের সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে সরকার এগিয়ে আসবে বলে বিবৃতিতে আহ্বান জানান বরকত উল্লাহ বুলু।