হরতাল-অবরোধের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা!
দেশে চলমান হরতাল-অবরোধের মধ্যে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
আগামী ১ এপ্রিল সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
হরতাল-অবরোধের মধ্যেও পরীক্ষা হবে কিনা— জানতে চাইলে সোমবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী ফোনে বলেন, ‘ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হবে, এর ব্যত্যয় হবে না। এর মধ্যে হরতাল-অবরোধ আমরা বিবেচনায় আনতে চাই না।’
‘হরতাল-অবরোধেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে গেছে, ক্লাস চলছে। এখন হরতাল-অবরোধ নেই, রাস্তাঘাটে গাড়ি-ঘোড়া চলছে। এসএসসি পরীক্ষা শুক্র-শনিবার নেওয়ায় অনেকে বলেছেন এভাবে কত দিন চলবেন? পরীক্ষার্থীদের বলব, তারা যেন দুঃশ্চিন্তা না করে সূচি অনুযায়ী পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়’ বলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।
গত জানুয়ারির শুরু থেকে অবরোধের পাশাপাশি হরতাল কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এজন্য পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী এসএসসি ও সমমানের কোনো পরীক্ষাই নেওয়া যায়নি। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ পরীক্ষাগুলো নেওয়া হচ্ছে।
সাধারণ আটটি শিক্ষা বোর্ড, একটি কারিগরি ও একটি মাদ্রাসা বোর্ডসহ মোট দশটি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে ১ এপ্রিল।
প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ১ এপ্রিল শুরু হয়ে ১১ জুন এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে। এরপর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। ১৩ থেকে ২২ জুনের মধ্যে এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম দিন এইচএসসিতে বাংলা প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথমপত্র এবং বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র (ডিআইবিএস) বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আলিমে কুরআন মজিদ (সকল বিষয়) বিষয় ও কারিগরিতে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হরতালের কারণে তা শুরু হয় ৬ ফেব্রুয়ারি। তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ১১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হচ্ছে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। হরতালে সবগুলো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছান হয়েছে।