লিবিয়ায় অপহৃত হেলাল পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন
লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের সিরত শহরে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস) হাতে অপহৃত জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের ফোনে কথা হয়েছে। অপহরণের ১৮ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে তিনি লিবিয়া থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলেন।
এ ঘটনায় হেলালের পরিবার ও গোটা এলাকায় হেলাল উদ্দিনকে ফিরে পাওয়া নিয়ে আশা সৃষ্টি হয়েছে।
লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের শহর সিরতের একটি তেলক্ষেত্র থেকে গত ৬ মার্চ ২ বাংলাদেশীসহ ৯ বিদেশী শ্রমিককে অপহরণ করে আইএস। তাদের হাতে অপহৃত অপর বাংলাদেশী হলেন নোয়াখালীর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
হেলালের স্ত্রী আলেয়া বেগম জানান, দুপুরে তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। তিনি ফোন রিসিভ করলে অপরপ্রান্ত থেকে তার স্বামীর কণ্ঠ শুনতে পান।
এ সময় হেলাল উদ্দিন তার স্ত্রীর কাছে বড় মেয়ে হেলেমের সঙ্গে কথা বলতে চান। পরে হেলেম তার বাবার সঙ্গে প্রায় ৪ মিনিট কথা বলেন।
হেলাল তার মেয়েকে বলেন, ‘এখানে অনেক কষ্টে আছি। আইএসের ওরা আমাকে সারাদিনে মাত্র একবার খাবার দেয়।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২-৩ দিনের মধ্যেই তাকে মুক্ত করে দিতে পারে আইএস সদস্যরা। হেলাল তার মুক্তির জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বলে জানায় তার মেয়ে।
জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের কথা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি।’
উল্লেখ্য, উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের দক্ষিণ গজারিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন ২০০৯ সালে লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের সিরত শহরের একটি তেল কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজে যোগ দেন। সেখানে পাঁচ বছর থাকার পর ২০১৪ সালের মার্চের দিকে ছুটিতে হেলাল দেশের বাড়িতে আসেন। গ্রামের বাড়িতে দুই মাস থাকার পর আবারও তিনি লিবিয়ায় চলে যান।