অবশেষে চট্টগ্রামে মেয়র প্রার্থী মনজুর
অবশেষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এম মনজুর আলম। চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এক সংবাদ সম্মেলনে মনজুর আলমকে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনটি ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন’র ব্যানারে বর্তমান মেয়র মনজুরকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। তবে এ সময় মনজুর আলম উপস্থিত ছিলেন না।
বিএনপির কোনো নেতা উপস্থিত না থাকলেও উন্নয়ন আন্দোলনের পক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হতে গণমাধ্যমকর্মীদের আমন্ত্রণ জানান নগর বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও তাদের ব্যক্তিগত সহকারী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী আবু সুফিয়ান, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, অধ্যাপক সালেহ জহুর, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ মির্জা প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরবাসী প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছে। মহানগরীর উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে পুনরায় মেয়র পদে মনজুর আলমের নাম ঘোষণা করছি।’
তিনি বলেন, বিগত মেয়াদে মঞ্জুর আলম সিসিসিকে দুর্নীতি, দলবাজি ও মাস্তানমুক্ত রেখে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করেছেন। চট্টগ্রামের উন্নয়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ বিনয়ী-সদালাপী ও দাম্ভিকতাহীন মঞ্জুর পাঁচ বছরে তার আগের ১৫ বছরের দ্বিগুণ উন্নয়ন কাজ করেছেন।“
মঞ্জুর ২০ দল সমর্থিত প্রার্থী কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা বিএনপি-আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির সমর্থকসহ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন আশা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনের আগে সকালে নগর ভবনে মনজুর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘গত ২২ বছর ধরে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। দল যদি চায়, আল্লাহর হুকুম আর সবকিছু অনুকূলে থাকলে আমি নির্বাচন করব।’
সন্ধ্যার সংবাদ সম্মেলনের পর যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের প্রার্থী।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদে থেকে দলীয় সিদ্ধান্তেই নির্বাচন করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে পরে কথা বলব।’
বর্তমান মেয়র হওয়ায় পদত্যাগ করেই তাকে নির্বাচন করতে হবে। আর সেই প্রস্তুতিও তার রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের ব্যানারে ২০১০ সালেও মনজুর আলমকে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপরই বিএনপির পক্ষ থেকে তাতে সমর্থন জানানো হয়।