গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করে দেশ-বিদেশে বসবাসরত সকল নাগরিককে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় দিন। ঐতিহাসিক এ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি জাতিকে দুই দশকের অধিক সময় ধরে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ এবং স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তারই নেতৃত্বে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা।’
তিনি বলেন, ‘আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ সকলস্তরের জনগণকে, যাদের অসামান্য অবদান ও সাহসী ভূমিকা আমাদের বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে তাদের সকলের অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রকামী, শান্তিকামী। তারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদসহ কোনো ধরনের সহিংসতা সমর্থন করে না। আমাদের মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রের বিকাশ ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ছাড়া সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। গণতন্ত্র বিকাশের পূর্বশর্ত হলো অব্যাহতভাবে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা, পরমতসহিষ্ণুতা, সংযম এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।’
তিনি বলেন, ‘এ জন্য জাতীয় জীবনে আমাদের আরও ধৈর্য, সংযম ও সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। জাতীয় সংসদকে পরিণত করতে হবে সকল আলোচনা ও সমস্যা সমাধানের কেন্দ্রবিন্দুতে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, স্বাধীনতার লক্ষ্য ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। সূত্র : বাসস।