স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতেও নেই খালেদা
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসেও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে গেলেন না ২০ দলীয় জোটনেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মহান ভাষা দিবসেও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাননি তিনি।
২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা দিবসে খালেদা জিয়া শহীদ মিনারে না গেলেও গুলশান নিজ কার্যালয়ে ভাষা শহীদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত করেন। তবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এখন পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা) গুলশান কার্যালয়ে কোনো কর্মসূচি আছে কীনা তা জানাতে পারেননি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
বঙ্গভবনে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ২১ সিনিয়র নেতাদের আমন্ত্রণ জানান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা বঙ্গভবনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
স্বাধীনতা দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপির পক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান ও আব্দুল মঈন খানসহ শ’খানেক নেতাকর্মী সাভারের শহীদবেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় দিকে তারা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে খালেদা জিয়া ৩ জানুয়ারি রাত থেকে গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। কিছু দিন তার কার্যালয় ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বালু ও ইটভর্তি ট্রাক দিকে ঘিরে রাখে। পরবর্তী সময়ে কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, টেলিফোন ও ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলেও ফের সংযোগ দেওয়া হয়।
প্রতিবার স্বাধীনতা দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়া শেষে খালেদা জিয়া শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তবে এবারই প্রথম তিনি কোথাও যাননি।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জোনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান ও ড. আব্দুল মঈন খান ছাড়াও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাহান ওমর, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আবদুল মান্নান, জিয়াউর রহমান খান, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আসাদুল করীম শাহিন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সেলিম রেজা হাবিব, মহানগর বিএনপির আবু সাঈদ খান খোকন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, মহিলা দলের নুরে আরা সাফা, মহানগর সভাপতি সুলতানা আহমেদ, রাশেদা বেগম হীরা, ওলামা দলের হাফেজ আবদুল মালেক, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার এম এ মালেক, মনির খান, সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া শিশির, কৃষক দলের শাহজাহান মিয়া সম্রাট, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুল ইসলাম বাচ্চুসহ যুবদল, ছ্ত্রা দল, স্বেচ্ছাসেবক দলের আখতারুজ্জামান বাচ্চুসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মাহবুবুর রহমান ও মঈন খানসহ নেতাকর্মীরা জিয়াউর রহমানের মাজারে গিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারা প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন।