শ্রীবরদীর খামারিয়া পাড়া এখন মাদকের আখড়া; অতিষ্ট এলাকাবাসী
শ্রীবরদী প্রতিনিধি: শ্রীবরদীর খামারিয়াপাড়া এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। দিনরাত ২৪ ঘন্টায় প্রকাশ্যে চলছে হেরোইন, ইয়াবা ট্যাবলেটের বেচাকেনা। এতে জড়িয়ে পড়েছে এলাকার মহিলারাও। দুর দূরান্ত থেকে মাদকসেবীদের আনাগোনায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। নষ্ট হচ্ছে উঠতি বয়সীরা। নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে অভিবাবকরা।
জানাগেছে, উপজেলা সদরের পশ্চিম বাজার, খামারিয়া পাড়া, তারাকান্দি, ফতেহপুর গ্রামে প্রকাশ্যে চলছে হেরোইন, ইয়াবা বেচাকেনা। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদবসেবীরা ভীর করছে মাদক কেনার জন্য। মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের লোকজনের মাধ্যমে বিক্রি করছে মাদকদ্রব্য্র। আর এ অঞ্চলের মাদকের পাইকারী বিক্রেতাদের অধিকাংশের বাড়ি খামারিয়াপাড়া গ্রামে। এ জন্য এ গ্রামেই মাদক কেনার জন্য ভীড় থাকে বেশি। রাস্তায় মোটর সাইকেল সহ দিনরাত ভীর লেগে থাকায় এলাকার মেয়েরা বাইরে বের হতে পারেনা। বেড়েছে এলাকায় ছিচকে চুরি ও মোবাইল ছিনতাই। উঠতি যুবরা হেরোইনে আসক্ত হওয়ায় অনেক অভিবাবককে তাদের সন্তানের হাতে লাঞ্চিত হতে হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা জানায়, খামারিয়াপাড়া গ্রামে কে কে হেরোইনের ব্যবসা করে তাদের সবাইকে থানা পুলিশ চিনে। এদের অনেকেই একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। আগে নিয়মিত পুলিশ অভিযান চালালেও বর্তমানে পুলিশের অভিযান না থাকায় মাদকের কেনাবেচা অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে অতিষ্ঠ খামারিয়াপাড়াবাসী গত শুক্রবার মসজিদে একটি মাদক প্রতিরোধ কমিটি করে। কিন্তু মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় বৃহস্পতিবার মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে নাজেহাল হয়েছে একই মসজিদের সাবেক ইমাম ক্বারী মোঃ জালাল উদ্দিন ও আকরাম হোসেন ।
খামারিয়াপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি আকরাম হোসেন মিছরি চৌধুরী জানান, খামারিয়াপাড়ার কতিপয় মাদক ব্যবসায়ীর কারনে এলাকায় মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। এ এলাকায় কোন ভাল মানুষ আসতে চায়না। বাজারের ম্যান পয়েন্টে এ এলাকা হওয়া সত্বেও এ এলাকায় কেউ আসতে না চাওয়ায় জমির দাম অন্যন্য এলাকায় তুলনায় অনেক কম। এ নিয়ে শুক্রবার মাদক ব্যবসায়ীদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খামারিয়াপাড়া জামে মসজিদে গণস্বাক্ষর নিয়েছি। তিনি আরও জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশ মাঝে মধ্যে ধরে নিয়ে গেলেও তারা কয়েকদিনপরই বের হয়ে এসে পুণরায় আগের ব্যবসা শুরু করে। তাই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের দীর্ঘ দিনের সাজার ব্যবস্থা করতে পারলে মাদক কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসবে।