লাঙ্গলবন্দে পুণ্যস্নানে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু
জেলার বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমী স্নানোৎসবে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাত নারী ও তিন পুরুষ। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। লাঙ্গলবন্দ বাজারের রাজঘাটে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান ও লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের সেক্রেটারি বাসুদেব চক্রবর্তী ১০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও ভোর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র অষ্টমী স্নান শুরু হয়। ব্রহ্মপুত্র নদে হাজারো পুণ্যার্থীর এ স্নান চলবে শনিবার ভোর পর্যন্ত। পুণ্যস্নান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকেই লাঙ্গলবন্দে হাজার হাজার পুণ্যার্থীর ঢল নামে। সকালে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। লাখো মানুষের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে লাঙ্গলবন্দ।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাঙ্গলবন্দ বাজার এলাকায় একটি সরু সেতুর এক ঢালে লোকজনের চাপে কয়েকজন মাটিতে পড়ে যান। ওই সময়ে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হন অন্তত ৪০ জন। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যান ১০ জন।
নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের নিতাই চন্দ্র দাশ ও বাবুল বিশ্বাস, কুমিল্লার চান্দিনার রঞ্জিত মল্লিক, দাউদকান্দির কানন বালা, মেঘনা থানার তুলসী দেবনাথ, রাজধানী ধানমণ্ডির ঝিগাতলার ভগবতী দাশ, লালবাগের রাহী, মানিকগঞ্জের মালতী দাস ও নোয়াখালীর কবিরহাটের ভানুমতি দাশ। এ ছাড়া ১১ বছরের এক মেয়ে শিশু রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। তার পরিচয় জানা যায়নি।
লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসবের সেক্রেটারি বাসুদেব চক্রবর্তী জানান, নিহতদের পরিবারের লোকজনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হবে।
শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড থেকে তিথি শুরু হওয়ার পরেই ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানে নামে হাজার হাজার হিন্দু পুণ্যার্থী। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই বৃহস্পতিবার রাতে এসেই বন্দরে স্নান উপলক্ষে তৈরি বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান নেন। স্নানোৎসব শেষ হবে শনিবার ভোর ৬টা ৫৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে।