পিকনিকের চাঁদা না দেয়ায় ৫০ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত
পিকনিকের চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায়, রাজশাহীর বাঘায় বেধড়ক পিটিয়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে আহত করেছেন এক শিক্ষক। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী।
এ ঘটনার প্রতিবাদে, বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবকরা। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার এক শিক্ষার্থী ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন- ‘আমরা স্কুলে গিছি, তখন স্যারেরা বুলছে যে, আমাদেরে স্কুলে পিকনিক করতি হবি। আমরা বুলছি, স্যার আমরা পিকনিক কৈরবো না। তখন হেড স্যার সেই স্যারকে বুললেন – যারা ট্যাকা দিবি নে তাগোরে মারি শোয়ায় দ্যাও। বুলার সাথে সাথে আমাদের সব গুলাক মারিছে।’
শনিবার সকালে মামুনের মত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয় শিক্ষকের পিটুনিতে। তাদের অভিযোগ, কেবলমাত্র পিকনিকের চাঁদা দিতে রাজী না হওয়ায় বাঘা চণ্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির বাংলা শিক্ষক মোহাম্মদ আলী তাদের ওপর এই নির্যাতন চালান।
এ সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ঘটনার মূল কারণ- আমরা পিকনিকে টাকা দিইনি তাই আমাদের মারছে। ক্লাসে আমরা ৪০-৫০ জন ছাত্রছাত্রী ছিলাম। সবাইকে মারছে।’
এঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। রাজশাহীর বাঘা থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আর অবরুদ্ধ শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে স্কুল থেকে উদ্ধার করে থানায় রেখেছি।’
এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবকেরা। বাঘা বাজার এলাকায় মানববন্ধন ও মিছিল করে তারা। এসময় তারা দোষী শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। বাঘা চণ্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে রোববার শিক্ষার্থীদের নিয়ে পিকনিকে যাওয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছিলো। তারই প্রেক্ষিতে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটে।