জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলার প্রতিবাদে ৪ দিন যাবত নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিস তালাবদ্ধ : অপসারণ দাবি
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ম্লান করে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক ও বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলার প্রতিবাদে ৪ দিন যাবত তালাবদ্ধ রয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিস। ওই ঘটনায় ২৯ মার্চ রবিবার বিকেলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি পেশের মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মোখলেসুর রহমান রিপনের বিচার দাবি করেছেন। এছাড়া ফুঁসে উঠছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ। শেষ পর্যন্ত তারা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা ঠুুকে পারেন।
জানা যায়, ২৬ মার্চ নালিতাবাড়ী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মুক্ত মঞ্চে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ম্লান এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দের নাম স্মরণ না করে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক ও বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে বক্তব্য প্রদান করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মোখলেসুর রহমান রিপন। এতে তাৎক্ষণিক উত্তেজিত হয়ে উঠেন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারাসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখলেও অনুষ্ঠান বর্জন করেন মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্যরা। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিলসহকারে উপজেলা পরিষদ অঙ্গণে গিয়ে চেয়ারম্যানের অফিসকক্ষের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপরও উপজেলা চেয়ারম্যান নীরব থাকায় তার অপসারণ দাবিতে একাট্ট হয়ে উঠে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা যুবলীগ, শহর যুবলীগ, প্রতিরোধ যোদ্ধা, প্রজন্ম লীগসহ কয়েকটি সংগঠন। শনিবারও তারা বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা সদরে। পরিস্থিতি উত্তপ্তকর থাকায় রবিবার অফিসে যাননি উপজেলা চেয়ারম্যান।
্ওই ঘটনার বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান রিপন স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে খাটো করে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক ও বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন তা রীতিমত রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ওই ঘটনার পর মুক্তিযোদ্ধারাসহ স্বাধীনতার পক্ষের লোকজন ফুঁসে উঠার পরও তার বোধোদয় না হওয়ায় এখন আইনগত ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোল্লার মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।