‘মৃত্যুর পর খালেদার স্থান নিশ্চিত জাহান্নাম’
‘আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার দায়ে খালেদা জিয়ার বর্তমান জায়গা হলো কারাগার আর মৃত্যুর পর তার জায়গা নিশ্চিত জাহান্নাম’ বলে মন্তব্য করেছেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজ ভাণ্ডারী।
দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে রবিবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নজিবুল বশর বলেন, ‘খালেদা জিয়া মানুষ পুড়িয়ে মেরে যে অপরাধ করেছেন তার জায়গা এখন জেলখানা এবং মৃত্যুর পর নিশ্চিত জাহান্নাম, ইসলাম তাই বলে। মানুষ পুড়িয়ে মারার হুকুম যারা দিয়েছেন (খালেদা জিয়াসহ) তাদের দ্রুত বিচার আইনে মামলা করতে হবে। তিনি কুরআন মানেন না, ইসলাম মানেন না, হাদিস মানেন না। তার ওপর আল্লাহর গজব নাযিল হয়েছে।’
‘খালেদা জিয়ার বিচার না হলে প্রধানমন্ত্রী আল্লাহ ও সংবিধানের কাছে ঠেকে থাকবেন’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তরিকুল ফেডারেশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘খালেদা জিয়া পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ মারছেন, গুপ্ত হত্যা করছেন। ইসলামের বিধান অনুসারে মানুষকে পুড়িয়ে মারা যাবে না, এমনকি সাপকেও পুড়িয়ে মারা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া জামায়াত-শিবির-হিযবুত তাহরীরকে সঙ্গে নিয়ে মানুষ হত্যা করছে। উনার বিচার এদেশে হতেই হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলব, উনার (খালেদা জিয়া) বিচার না করলে সংবিধান ও আল্লাহর কাছে আপনি ঠেকা থাকবেন।’
নজিবুল বশর বলেন, ‘আগামী বিজয় দিবসের আগেই খালেদা জিয়াকে জেলখানায় পাঠিয়ে বিচার সম্পন্ন করতে হবে। তার জায়গা জেলখানা। খালেদা জিয়ার বিচার না হলে আমরা যারা সংসদ সদস্য আছি, আমাদের কাউকেই মানুষ ক্ষমা করবে না। আগামী দিনে ভোট চাইতে পারব না। আল্লাহও ক্ষমতা করবে না। সংগঠন হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এ সংক্রান্ত আইন দ্রুত পাস করতে হবে। যত দেরি হবে ততই সমস্যা।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে যে হরতাল দিয়েছে দিচ্ছে এটি তারা বন্ধ করবে না। আরও বড় নাশকতা করবে। তিনি হয় নিজে ধ্বংস হবেন না হয় দেশকে ধ্বংস করবেন। তাই এ মহিলার হাত থেকে দেশ রক্ষার জন্য তাকে কারাগারে প্রেরণ করতে হবে।’