‘গুমের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নোবেল দেওয়া যায়’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, ‘এ পর্যন্ত বিএনপির ১৫০ জন নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুমের ইতিহাস তৈরি করেছেন। যা এর আগে আমরা দেখিনি। এ গুমের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া যায়।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে রবিবার বিকেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
‘প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশ করে কথা বলার’ আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনি বলেছেন, ‘বেগম জিয়া বস্তায় ভরে সালাহ উদ্দিনকে পাচার করে দিয়েছে।’ আপনি কি দেখেছেন? দেখে থাকলে আপনি কেন মামলা করেননি? এ দেখার সাক্ষী আপনাকে দিতেই হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনি সোহরাওয়ার্দীর জনসভায় বলেছেন, ‘দেশের সকল মানুষ আপনার পক্ষে।’ কত মানুষ আপনার জনসভায় গিয়েছে? আপনি কী করে বুঝলেন, সকল মানুষ আপনার পক্ষে? আপনি কি খালেদা জিয়াকে সমাবেশ করতে দিয়েছিলেন? আপনার প্রতি চ্যালেঞ্জ রইল, পারলে খালেদাকে একটা সমাবেশ করতে দিন, তার পর এ সব বলুন।”
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমি প্রাক্তন আওয়ামী লীগার, আমি জানি কিভাবে জনসভায় মানুষকে একত্রিত করেন? পুরনো বাসে পেট্রোলবোমা কারা মারে তাও আমি জানি।’
মন্ত্রিপরিষদের সমালোচনা করে বিএনপি এ নেতা আরও বলেন, “কী এক রাবিশ ডিপার্টমেন্টের খবিশ মন্ত্রী আছেন, তিনি কথায় কথায় রাবিশ বলেন। সেই মুহিত সাহেবের কি হয়েছে জানি না। জমিদারের নাতি বলেন, ‘সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকা না।’ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ মারা নাকি ভাল।’ রেলমন্ত্রী পায়ে ঠেকিয়ে গুলি করার পক্ষে বলেন। এ সব নামকাওয়াস্তে ভোটবিহীন মন্ত্রীদের কথার কোনো ঠিক নেই।”
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনি ক্ষমতায় না থাকলে একটি রাষ্ট্রের ট্রানজিট, গ্যাস, তালপট্টিসহ কোনো কার্যসিদ্ধি হবে না। বেগম জিয়ার সঙ্গে সেই দেশের কোনো আপস চলবে না, তাই আপনি প্রধানমন্ত্রী।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক রুহুল আমিন গাজী, মহিলা দলের সভানেত্রী নূরী আরা সাফা, ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা ফরিদ প্রমুখ।