গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ আহত ১০
জামালপুরে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। এতে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২৭ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় চায়না (৪৫) নামে এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।
জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এক বছর আগে চরপাড়া গ্রামের হাফেজ উদ্দিনের ছেলে সজল মিয়া জামালপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি থেকে একটি সংযোগ লাইন নেন। প্রতিবেশী গজারিয়া গ্রামের একাধিক গ্রাহক নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য সমিতির কাছে আবেদন করেন এবং সজল মিয়ার বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে তারা তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু সজল মিয়া গজারিয়াবাসীকে তার খুঁটি থেকে সংযোগ দিতে বাধা দেন। মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল চরপাড়ায় গেলে সজল মিয়ার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২৭ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে।
হামলার ওই ঘটনায় জামালপুর সদর থানার বারুয়ামারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মশিউর রহমানসহ পুলিশ কনস্টেবল হযরত আলী, জাকির হোসেন, উপেনকিশোরসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আক্রমণকারীরা জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িও ভাঙচুর করে।
জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে চরপাড়া গ্রামের সজল মিয়ার স্ত্রী চায়না বেগমকে আটক করা হয়েছে।