‘ভারত আমাদের চিট করেছে’
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বীরউত্তম
কীভাবে যে দিনগুলি কেটে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না। ২৬ই মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ‘The Daily Star’-এ আমেরিকায় বসবাসরত ড. নূরুন্নবীর ‘The Tangail Landings : A signal for victory’ পড়লাম। লেখাটি বেশ কয়েক বছর আগে ছাপা তার এক বইয়ের অংশ বিশেষ। ঘটনাটি আজকের নয়, ৪৪ বছর আগের। অথচ মনে হল এই যেন সেদিন পুংলী, ভুক্তা, এলেঙ্গার আশপাশে ছত্রীবাহিনী নামছে, আমরা টাঙ্গাইল দখলে বিদ্যুৎগতিতে ধেয়ে চলেছি— সে এক রক্তের হোলিখেলা। ঠিক তেমনি ২৮ জানুয়ারি মতিঝিলের ফুটপাতে বিছানা পেতেছি। মাসের দিক থেকে তিন, দিনের দিক থেকেও একেবারে কম নয়। আনন্দ-বেদনা, দুঃখ-কষ্ট, হাসি-কান্না-নির্যাতন মাথায় নিয়ে জীবনের কত বসন্ত কাটিয়ে এসেছি, সারাজীবন শুধু শুধু পদাঘাত করে যাকে ক্ষতবিক্ষত-জর্জরিত করেছি। মতিঝিলের সেই ফুটপাতে গড়াগড়ি গিয়ে বুকে পিঠে জড়াজড়ি করে অন্তত বলতে পারছি— হে প্রিয় ফুটপাত, আজীবন আমি শুধু তোমায় পায়েই দলিনি, তোমার বুকে গড়াগড়ি মাখামাখিও করেছি। দেশের এমন দুরাবস্থা না হলে ফুটপাতে গড়াগড়ি যেতে পারতাম না। প্রায় সবাই জানেন, যৌবনে আমি কোনো নারীর প্রেমে মোহবিষ্ট হইনি। বঙ্গবন্ধুকে পেয়ে জননী, জন্মভূমিকে ভালবাসতে শিখেছিলাম। মাতৃভূমিই আমার প্রথম প্রেম। তাই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ-প্রতিরোধে ১৬ বছর নির্বাসনে থেকে ১৬ই ডিসেম্বর ’৯০ দেশে ফিরে ঢাকা বিমানবন্দরে সিঁড়ির শেষ ধাপে নেমে থমকে গিয়েছিলাম। বুকের ভেতর বিদ্যুৎ খেলে গিয়েছিল, জননী জন্মভূমির বুকে পা রাখব কী করে। আবার জাহাজে ফিরে গিয়েছিলাম। আমার স্ত্রী নাসরীন বুঝতে পারছিল না কী হয়েছে। পিঠে হাত রেখে দাঁড়িয়েছিল। দু-এক মিনিটের বেশী হবে না, বিমান থেকে সিঁড়ি বেয়ে গড়িয়ে পড়েছিলাম। মাটিতে পা লাগাতে দিইনি। বেশ কিছুক্ষণ গড়াগড়ি যাওয়ায় আমার অন্তরাত্মা শীতল হয়ে গিয়েছিল। নির্বাসিত জীবনে কোনোদিন কখনো মাথাব্যথা ছাড়া ছিলাম না। কিন্তু যেই ঢাকা বিমানবন্দরে মাটির স্পর্শ পাইনি, পেয়েছিলাম মা-মাটির উপরে বিমানবন্দরের কংক্রিটের স্পর্শ। তাতেই মাথাব্যথা কোথায় চলে গেছে এখনো মনে করতে পারি না। কতজন কত কথা বলে, আমি ফুটপাতে থাকায় তাদের হৃদয় ছিঁড়ে যায়, রাতে ঘুমাতে পারে না। অথচ সারাদিন ছোটাছুটি করা বাড়ি ফেরা কোনো শিশু যখন মায়ের বুকে মাথা এলিয়ে দিয়ে প্রশান্তিতে সব ভুলে যায় আমারও কেন যেন অনেকটা তেমন লাগে। সারাজীবন ঠাণ্ডার দোষে দুষ্ট ছিলাম। একটু এদিক-ওদিক হলেই কফ কাশিতে একাকার, চোখমুখ ফুলে ঢোল। হাঁচিতে কাশিতে সে এক বিশ্রী অবস্থা। কিন্তু সেই জানুয়ারি থেকে মার্চ স্বাধীনতার মাস— কত অত্যাচার, কত বৃষ্টি-বাদল, ঠাণ্ডা বাতাস— কই যেমন হওয়ার কথা ছিল তার বিন্দুবিসর্গও হয়নি। তীব্র ঠাণ্ডা বাতাস ফেরানোর ছালার বেড়া কতবার পুলিশ নিয়ে গেছে। কাপড়ের তাবু ছিঁড়ে-ফেড়ে একাকার করেছে— রাতে চকি নিত, দিনে বানাতাম। তাই কষ্ট যে হয়নি তা নয়। কিন্তু কেন জানি খারাপ লাগেনি। মনে হয় ভালবেসে অন্তর দিয়ে কিছু করলে এমনই হয়। বিত্তশালী ধনবানরা মুখ ফিরিয়ে নিলেও রাস্তার মানুষ দু’হাতে সাহায্য করেছে। মতিঝিলের ফুটপাত যেখানে শুক্র, শনিবার কোনো লোক মারা গেলে কবর দেওয়ার মানুষ পাওয়া যায় না, সেখানে প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ আর মানুষ। যে মানুষের খোঁজে জীবন কাটিয়েছি তাদের কাউকে যে এখানে পাইনি তা জোর দিয়ে বলা যাবে না।
অনলাইন পত্রিকা সম্পর্কে আমার তেমন একটা জ্ঞান ছিল না। দুই-তিন বছর আগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে একটি অনলাইন পত্রিকার শুভ উদ্বোধনে গিয়েছিলাম। কোনোকিছু উদ্বোধন করতে আমার সব সময় কেন যেন বাধোবাধো লাগে, ভাল লাগে না। আমার দ্বারা শুরু হওয়া কোনো কাজ পরে যদি ভাল না হয়, মনটা তাই উসখুস করে। সেই অনুষ্ঠানে জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না ছিলেন। যতক্ষণ ছিলেন নিজের বক্তৃতা ছাড়া বাকী সময় মোবাইলে শুধু কথাই বলেছেন। আরও বেশ কয়েকটি সভায় একই রকম দেখেছি। সব সময় কথা বলা হয়ত তার অভ্যাস। কিন্তু সভা-সমিতিতে ফোন ধরায় আমার অভ্যাস নেই। একজন মুসলমানের নামাজে দাঁড়ানোর পর যেমন দুনিয়ার প্রতি খেয়াল থাকা উচিত না, একজন হিন্দুর যেমন নিষ্ঠা নিয়ে আরাধনা করা উচিত— আমিও অনেকটা তেমনি রাজনীতিকে এবাদত-বন্দেগীর মতো মনে করি। কোনো সভা-সমাবেশে অংশ নেওয়া আর নামাজের উদ্দেশে মসজিদে যাওয়া নিষ্ঠার দিক থেকে এ দুইয়ের মধ্যে আমার কাছে পার্থক্য খুবই সামান্য। পরম প্রভু আল্লাহর নৈকট্য পেতে আমি মসজিদে যাই, আর কোনো সভায় যাই মানুষের সান্নিধ্য ও ভালবাসা পেতে। তাই কোনো সভায় যতক্ষণ থাকি ততক্ষণ অন্য সবকিছু ভুলে থাকি। ছেলেবেলায় গুরুজনের কাছে শুনেছি, ‘এক হাতে দুই শোল (মাছ) ধরা যায় না’। দুই হাতে একটা শক্ত করে ধরতে হয়। সব সময় আমি তাই করি। কিন্তু আমি করলেই যে সবাই করবেন তেমন আশা ও বিশ্বাস কোনোটাই করি না। তাই সভা-সমিতিতে নেতানেত্রীদের যখন তখন হুটহাট ফোন ধরা বা করা নিয়ে তেমন ভাবি না— ব্যাপারটা অনেকটা গা-সওয়া হয়ে গেছে। সিনেমা-থিয়েটারের শিল্পীরা যখন ত্রুটিহীন নিখুঁত অভিনয় করে, তখন অনেক দর্শক মুগ্ধ বিমোহিত হয়। বাস্তব জীবনেও যারা সমাজপতি, রাষ্ট্রনায়ক তাদের কাজ নিখুঁত না হলে মানুষ অনুপ্রাণিত হয় না। জীবননাট্যের নায়ক-নায়িকারা এখন কেমন যেন ফিকে বা হালকা হয়ে যাচ্ছেন। তাদের কর্মে যেহেতু কোনো মায়া-মমতা দরদ নেই, তাই মানুষও তাদের প্রতি তেমন আকৃষ্ট হয় না। যাক, ওই সমস্ত। যে কারণে লেখার অবতারণা। কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনলাইন পত্রিকা উদ্বোধনের পর অনলাইন নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিশেষ করে আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ হলে তারা তাদের অনলাইনে লিখতে বলেছিলেন। সময়-সুযোগের অভাবে খুব একটা সাড়া দিতে পারিনি। সাগর আনোয়ার সেই ফাইভ-সিক্সে পড়ার সময় থেকে আমাদের সঙ্গে জড়িত। সে এখন thereport24.com-এ সাংবাদিকতা করে। একদিন হঠাৎ এসে হাজির। তার পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যেতে হবে। কী করে যেন রাজী হয়েছিলাম। দূরে একটা কাজ থাকার পরও thereport24.com-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে মিল রেখে হাজির হয়েছিলাম। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জনাব হাসানুল হক ইনু। মন্ত্রী হিসেবে সেটাই স্বাভাবিক। তিনি এক সময় জাসদের গণবাহিনীর নেতা হিসেবে আওয়ামীবিরোধী রাজনীতি করেছেন। এখন আওয়ামী রাজনীতি করেন। তা করতেই পারেন। সময় সব থেকে বড় নিয়ামক বা নিয়ন্ত্রক। তবে এখন আওয়ামী লীগের মুখপাত্রের মতো বিরোধীদের প্রতি যখন বড় বেশী নাহক বলেন, তখন ভাল লাগে না। কিন্তু সেদিন thereport24.com-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তার বক্তৃতা বেশ ভাল লেগেছে। রাজনৈতিক সমালোচনা থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার পরও সামাজিক সৌহার্দ্য আর ভদ্রতা না থাকলে সভ্য সমাজ চলে কী করে? সেদিন তার মধ্যে সে সবের কোনো ঘাটতি দেখিনি।
ধীরে ধীরে অনলাইন সম্পর্কে আরও জানার সুযোগ হয়েছে। আমার কম্পিউটার অপারেটর মো. আলমগীর হোসেনের কল্যাণে অনলাইনের প্রায় সব খবরাখবর পাই, প্রতিনিয়ত সে খবর বের করে দেয়। স্বাধীনতার মাসে অনলাইন পত্রিকা thereport24.com-এ একটা লেখা দেওয়ার বার বার আহ্বান এসেছে। এমনকি পত্রিকাটির সম্পাদক জনাব তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু মতিঝিলের অবস্থানে এসে অনুরোধ জানিয়ে গেছেন, স্বাধীনতার মাসে অন্তত একটা লেখা দিন। কী লিখব ভেবে পাইনি। ভাবছি আর ভাবছি। ওদিকে স্বাধীনতার মাস চলে যাচ্ছে। দেখতে দেখতে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো যেমন চলে গিয়েছিল, ঠিক তেমনি স্বাধীনতার মাস মার্চও শেষ হয়ে যাওয়ার পথে। তাই কিছু একটা না লিখলেই নয়, তাই লিখছি।
আমাদের নেতা ইকবাল সিদ্দিকী গাজীপুরে থাকে। ২৬ মার্চ গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর থেকে মতিঝিল আসতে সে নাকি বাড়িঘর, অফিস-আদালতের ছাদে ১৩টি পতাকা দেখেছে। আমিও সারাদিন রাস্তায় গড়াগড়ি গিয়ে বনশিল্প ভবন ছাড়া আর কোনো পতাকা দেখিনি। পত্র-পত্রিকা, রেডিও-টিভির ধারাবিবরণীতে বলা হলেও এবার কিন্তু স্মৃতিসৌধে ক্যামেরায় মানুষের ঢল দেখা যায়নি। ছেলেবেলা থেকেই ক্যামেরা ব্যবহার করি। যখন ক্যামেরা সংগ্রহের সাধ্য ছিল না তখনও কষ্ট করে করেছি। যখন আল্লাহ সাধ্য দিয়েছেন তখনও করেছি। মেয়েদের যেমন অলংকারের শখ, আমারও তেমন ক্যামেরার শখ। মানুষের চোখ ফাঁকী দেওয়া যায়, ক্যামেরার চোখ ফাঁকী দেওয়া যায় না। আগে ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট ছবিতে দেখেছি, কারও সাদা চুল খালি চোখে ধরা না পড়লেও ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ফুলের মালা দেওয়ার পর সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, খুব একটা দলীয় নেতাকর্মীও ছিল না। কেন এমন হয় বা হচ্ছে? ক্ষমতাবান নেতানেত্রীদের ভেবে দেখা উচিত। দেশের মালিক জনগণ, সেই জনগণের মালিকানা বা কর্তৃত্ব না থাকলে তাদের যে উৎসাহ থাকে না— এটা তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ।
২৬ই মার্চ ফজরের নামাজের পর পা গুটিয়ে বসেছিলাম। কয়েক দিন হয় রাতে ছোট্ট একটা টেলিভিশন ব্যবহার করি। সকালে গোসলের আগ পর্যন্ত তাতে অনেক কিছু দেখা যায়। কোন চ্যানেল খেয়াল নেই, এক যুবক বলছিল, আমি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। এর পর ৮-১০ বছরের একটি বাচ্চা বলল, ‘ইন্ডিয়া আমাদের চিট করছে’। জীবনে কত চিট শুনেছি, আমার কুশিমনিও মাঝেমধ্যে বলে, চিট করো কেন? কিন্তু সেদিন চিট শুনে বিস্মিত হয়েছি। অমন অন্তরভেদী চিট আগে কখনো শুনিনি। পাকিস্তান সরকার নানা কলাকৌশলে পূর্ব পাকিস্তানীদের ভারতবিরোধী করার চেষ্টা করেছে। সেই ভারত বিদ্বেষ রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অনেকটা মুছে যাচ্ছিল। যত্নের অভাবে সে সম্পর্ক মাঝেসাজে আঘাতপ্রাপ্ত হলেও ভারতের প্রতি বাংলাদেশের লক্ষ কোটি মানুষের হিংসা করার মতো ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা ছিল। যেটা গত কয়েক বছরে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের গত ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনী নাটকের মধ্য দিয়ে ভারতকে বাঙালীর হৃদয় থেকে মুছে ফেলার যে সূচনা করেছে, সেটা ক্রিকেট বিশ্বকাপে একেবারে পাকাপোক্ত হয়ে গেল। কোয়াটার ফাইনাল তো বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের না পড়ে অন্যকোনো দেশের সঙ্গেও পড়তে পারত। কেন তেমন হল না? মানুষ বিজয়ী হলে খুশী হয়, কিন্তু অন্যের পরাজয়ে একটা জাতি এমন খুশী হয়— ভাবা যায়? আর সেই দেশ, যে দেশের ১৪ হাজার সৈন্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়েছে। হিসাব করলে খুব বেশী মানুষ পাওয়া যাবে না, যারা অস্ট্রেলিয়ার বিজয়ে খুশী হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার বিজয়ে এর চেয়ে অনেক বেশী মানুষ খুশী হলেও চিন্তার কিছু ছিল না। কিন্তু মানুষ খুশী হয়েছে বাংলাদেশকে চিট করা ভারতের পরাজয়ে। এটা খুব একটা ভাল লক্ষণ নয়। আমি সব সময় আমার দেশের পক্ষে। আমার দেশের সম্পৃক্ততা না থাকলে সারা দুনিয়ায় যে যেদিকেই থাক, আমি ভারতের পক্ষে। কারণ ভারত রক্ত দিয়ে আমাদের স্বাধীনতায় সহযোগিতা করেছে। বঙ্গবন্ধু নিহত হলে আমি আমার সোনার যৌবন ভারতে কাটিয়েছি। ভারত আমার অকৃত্রিম বন্ধু, আমার এশিয়ার একমাত্র দল। বাংলাদেশের বাইরে এশিয়ার দল হিসেবে ভারতই আমার কাছে সেদিন ছিল গ্রহণযোগ্য। আমি দেশবাসীর নগণ্য গোলাম, দেশের প্রকৃত সেবক হওয়ার জন্যই আমার যত সাধ্য সাধনা। যাদের আমি গোলাম তারা একজনও এবার ভারতের পক্ষে ছিল না। এমনকি খোদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কিনা সন্দেহ। তাই দুই দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভাবার সময় এসেছে— বেশী দেরী হলে পস্তাতে হতে পারে।
লেখক : মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক