২৪ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলে চিত্রায়িত ‘চিনিবিবি’
২৪ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলে চিত্রায়িত গ্রাম-বাংলার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চিনি বিবি’।
আবহমান গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া লোকজ সুর, প্রকৃতির রূপ, জনমনের রঙ্গরস এবং লোকজ সংস্কৃতির সমন্বয়ে নির্মিত হয়েছে এ ছবি। ফলে শেরপুর ও জামালপুরের উৎসুক জনতা তাদের নিজ খরচে চিনিবিবি ছবির ব্যানার ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও স্টিকারের মাধ্যমে সমস্ত দেশবাসীকে বৈশাখী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ছবিটির পরিচালক নজরুল ইসলাম বাবু বলেন ‘এটি একেবারে গ্রাম-বাংলার গল্প নিয়ে ছবি। এখানকার সময়ে যে ছবি হয়, তার প্রায় সবই শহরের জীবনকে কেন্দ্র করে। অথচ আমাদের দেশের আশি ভাগ মানুষ বাস করে গ্রামে। যারা সহজ গল্প শুনতে ভালোবাসে, তাদের জীবনের সাধারণ গল্প নিয়েই এই ছবি।’
শেরপুরের কাহিনীকার ওয়াদুদ রঙ্গিলার লেখা কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে ছবি ‘চিনি বিবি’। তিনি বলেন, ‘আমি বড় হয়েছি শেরপুরের গ্রামের বাড়িতে। গ্রামের গন্ধ আমার নাকে লেগে আছে, গ্রামের লোকজন যেভাবে, যে ধরনের গল্প শুনতে ভালোবাসে আমি চেষ্টা করেছি সে রকম গল্প নিয়ে কাজ করতে। এর আগে ‘খায়রুন সুন্দরী’ ছবিটি দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। আশা করছি এই ছবিও দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করবে।’
‘চিনি বিবি’ ছবিতে দেখা যাবে, দুরন্ত এক ষোড়শী কন্যা চিনি একদিন পরিবারের সবাইকে বোকা বানিয়ে বান্ধবীদের সাথে নদীতে গোসল করতে যায়। ফেরার পথে চিনির ভাব বিনিময় হয় মানিকের সাথে। মানিকের চোখেও চিনির রেশ লেগে যায়। কিন্তু সমস্যা হলো চিনি শুধু মানিকের চোখে নয়, লালের চোখেও পড়ে। লাল চিনিকে দেখেই তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এখান থেকেই শুরু হয় গল্পের মূল আকর্ষণ।
এই ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অমিত হাসান, মিষ্টি জান্নাত ও জয় চৌধুরী। মৌলিক গল্প নিয়ে বড় ক্যানভাসের এই ছবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। ওয়াদুদ রঙ্গিলার লেখা কাহিনীর ওপর ভিত্তি করেই নির্মিত হয়েছে এই ছবি। এতে আরও অভিনয় করেছেন আলীরাজ, আনোয়ারা, আবদুল্লাহ সাকি, ওয়াদুদ রঙ্গিলা, ববিসহ দেড় শতাধিক শিল্পী। ছবিতে ১০টি গানে বাংলাদেশের ১১ জন স্বনামধন্য সংগীতশিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন। তাঁরা হলেন এন্ড্রু কিশোর, সাবিনা ইয়াসমিন, মনির খান, কনকচাঁপা, রাজীব, বেবি নাজনীন, আগুন, মমতাজ, ইতি, রিয়াদ ও ওয়াদুদ রঙ্গিলা। চলচ্চিত্রটির আবহ সংগীত করেছেন ইমন সাহা। ছবিটির চিত্রগ্রহণ করেছেন বিদ্যুৎ দাম, যন্ত্রসংগীত করেছেন আলমগীর, গীতিকার ও সুরকার ওয়াদুদ রঙ্গিলা।