প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত; প্রশিক্ষককে ঢাকায় স্থানান্তর, তদন্ত কমিটি গঠন
হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরে বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি এ্যান্ড সিভিল এ্যাভিয়েশনের স্যাসনা-১৫২ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত প্রশিক্ষণার্থী তামান্না রহমানের লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে।গুরুতর দগ্ধ প্রশিক্ষক লে. কর্নেল (অব.) সাঈদ কামালকে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তামান্নার ময়নাতদন্ত সম্পন্নের পর লাশ ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বাবার নাম ডা. আনিছুর রহমান। তিনি ঢাকার খিলক্ষেত নিকুঞ্জ-২ এর ১২ নম্বর রোডের ২২ নম্বর বাসায় থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে।
সিভিল এ্যাভিয়েশনের সিনিয়র সাব-স্টেশন অফিসার ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক দ্য রিপোর্টকে জানান, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে সিভিল এ্যাভিয়েশনের গ্রুপ ক্যাপ্টেন নাজমুল আনামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের
তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে রাজশাহীতে পৌঁছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগামী দুই দিনের মধ্যে কমিটি রিপোর্ট দাখিল করবে।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিমানটি উড্ডয়নের পর ডান দিকে ঘুরতে গিয়ে বাতাসের কবলে পড়ে। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ফলে বিমানটি রানওয়েতে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়।
তিনি আরও বলেন, নিহত প্রশিক্ষণার্থী তামান্না রহমান ২০১৩ সাল থেকে রাজশাহীতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আগামী বছর তার প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ বুধবার সন্ধ্যায় হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে প্রশিক্ষক লে. কর্নেল (অব.) সাঈদ কামাল ট্রেনার পাইলট তামান্না রহমানকে নিয়ে উড্ডয়ন করেন। ১টা ৫৮ মিনিটের মাথায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিমানটি এবং তাতে আগুন ধরে যায়। আগুনে প্রশিক্ষণার্থী পাইলট তামান্না রহমান দগ্ধ হয়ে মারা যান। গুরুতর দগ্ধ হন হন প্রশিক্ষক সাইদ কামাল। তার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে যায়।