রুটি খেয়ে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু, আটক ১
ময়মনসিংহের ত্রিশালে বৃহস্পতিবার সকালে আটার রুটি খেয়ে দুই শিশুসহ একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলো- ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাদামিয়া গ্রামের কালামের কন্যা নাজমা (২০), খলিল মিয়ার কন্যা দিলরুবা (১০) ও শহীদ মিয়ার কন্যা বিথী (৮)।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আরো ৫ শিশু ও মহিলাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদিকে যে দোকান থেকে আটা কেনা হয়েছিল সেই দোকানদারকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন- ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাদামিয়া গ্রামের কালামের কন্যা আসমা (২২) ও সালমা (১০), কালামের শাশুড়ি সমেলা (৬৫), কালামের পুত্রবধূ রুমা (২০) এবং রুমার বড় বোন আম্বিয়া (৪০)।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর ডা. হানিফ মোহাম্মদ জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা এখন আশঙ্কামুক্ত।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কালামের পুত্রবধূ রুমার পিতা মো. আলম জানান, ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাদামিয়া গ্রামের কালাম ও তার স্ত্রী থাকেন ঢাকায়। তার তিন কন্যা ও পরিবারের অপর সদস্যরা গ্রামে থাকেন। বুধবার কালামের শাশুড়ি সমেলা ও তার জেঠ্যাশ আম্বিয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালুকা থেকে ত্রিশালে বেড়াতে আসেন। বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশের সাইফুলের দোকান থেকে আটা কিনে আনা হয়। ওই আটা দিয়ে বানানো রুটি খেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে আবুল কালামের পরিবারের ৮ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাদের ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে সকাল ১০টার দিকে খলিল মিয়ার কন্যা দিলরুবা ও শহীদ মিয়ার কন্যা বিথী মারা যায় এবং সাড়ে ১১টার দিকে কালামের কন্যা নাজমা মারা যায়।
ত্রিশাল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় দোকানদার সাইফুলকে আটক করা হয়েছে।