ওয়াজ মাহফিলের চাঁদা দাবি; চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের গুলি ও পিটুনীতে আহত পাঁচ
ওয়াজ মাহফিলের জন্য পুলিশ সদস্যদের কাছে চাঁদা দাবি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলি ও পিটুনির শিকার হয়ে আহত হয়েছেন ৫ জন। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দলকালক্ষীপুর গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর গ্রামজুড়ে চরম উত্তেজনা চলছে।
পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন স্বাধীন হোসেন (১৬), সেলিম হোসেন (১৬) , হুমায়ুন কবীর (১৭) নামে ৩ যুবক। পিটুনির শিকার হয়েছেন আজাবুল ইসলাম (১৭) ও মিজানুর রহমান (১৭)। আহতদেরকে উদ্ধারের পর রাত ৯ টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জামিরুল ইসলাম আহতদেরকে দলীয় কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং আহতদের সংগে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার গ্রামটিতে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ওয়াজ মাহফিলের জন্য শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন যুবক স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের দুই সদস্যদের নিকট চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দাবির বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয় এবং চাঁদা দাবি করা যুবকদের আটক করে রাখে পুলিশ। খবর পেয়ে গ্রামবাসিরা পুলিশক্যাম্পে এসে তার প্রতিবাদ জানায়। একপর্যায়ে পুলিশ গ্রামবাসিদের ওপর গুলি চালায় ও তাদের লাঠিপেটা করে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, গ্রামবাসি পুলিশ ক্যাম্পে আক্রমণ করলে পুলিশ প্রথমে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে। এতে দু’একজন আহত হতে পারে।