পুলিশে অদ্ভুত কৌশলে নিয়োগ বাণিজ্য
সোহেল রানা, বাবার নাম মহিউদ্দিন। স্থায়ী ঠিকানা কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার দক্ষিণ ফিলিপনগর এলাকায় হলেও পুলিশে নিয়োগের আবেদনপত্রে স্থায়ী ঠিকানা পাল্টে ঢাকার ধামরাইয়ের কুশুরা গ্রাম লিখেছেন তিনি। ওই ঠিকানায় ২ শতাংশ জায়গা কেনার ভুয়া দলিলও তৈরি করে নিয়েছেন সোহেল। এবার ঢাকা জেলায় পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হবে ৬৯৬ জন। আর কুষ্টিয়া জেলায় নেওয়া হবে মাত্র ১৪০ জন। এ কারণে তিনি দালালচক্রকে ধরে ঢাকায় আবেদন করেন। কুশুরায় ২ শতাংশ জায়গা কেনার ভুয়া দলিল তৈরি করতে খরচ করেছেন লক্ষাধিক টাকা। ইউপি চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট নিতে খরচ করেছেন ১৫ হাজার টাকা। রাজনৈতিক নেতার পকেটে দিয়েছেন দুই লাখ টাকা। আর পুলিশ ও দালালদের পকেটে গেছে দুই লাখ টাকা। পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য বাজেট ৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তাঁর খরচ প্রায় ছয় লাখ টাকা। লিখিত পরীক্ষায় পাস করার পর মৌখিক পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। ভেরিফিকেশনের রিপোর্ট পক্ষে এলেই তিনি হয়ে যাবেন একজন ‘গর্বিত’ পুলিশ সদস্য।
মোহাম্মদ মিন্টু, বাবার নাম মাজেদ মোল্লা, গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার জয়দেবপুর এলাকায়। ওই জেলায় এবার লোক নেওয়া হবে ১৪১ জন। এ কারণে তিনিও সোহেল রানার মতো একই পথ ধরেছেন। মোহাম্মদ রনি মোল্লার বাবার নাম ওমর আলী মোল্লা; গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার বনগ্রাম এলাকায়। সেখানে নেওয়া হবে ৯৩ জনকে। তাই তিনিও ধামরাইয়ের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন।
তাঁদের মতোই সারা দেশে কয়েক লাখ তরুণ-তরুণী এবার পুলিশে চাকরির জন্য আবেদন করে পরীক্ষা দিয়ে পাস করে এখন নিয়োগের অপেক্ষায়। এক জেলার বাসিন্দা অন্য জেলায় জমি কিনে পুলিশে চাকরি নিয়েছেন, অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা জেলা সবার শীর্ষে আছে বলে কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। কারণ এই জেলায় নিয়োগের তদবিরবাজরা বেশি সক্রিয়। দেশের প্রতিটি জেলায়ই নিয়োগে নানা অনিয়ম ধরা পড়েছে। এসব অনিয়মের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতা, নেতাদের স্ত্রী, আমলা ও পুলিশের বড় বড় কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। আবার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্ত্রীরাও নিয়োগের জন্য তদবির করেছেন। এই ক্ষেত্রে পুলিশের এক বড় কর্তার স্ত্রী একাই ১০০-র বেশি নিয়োগের জন্য তদবির করেছেন বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে ‘নিয়োগে ঘাপলা’ অভিযোগ করে কয়েকজন সংসদ সদস্য পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত নালিশ পর্যন্ত করে ফেলেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করতে পুলিশ সদর দপ্তরকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভবিষ্যতে নিয়োগ পরীক্ষা ভিন্ন পদ্ধতিতে নেওয়া যায় কি না তা নিয়ে ভাবছে মন্ত্রণালয়। তবে নিয়োগ বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।
পুলিশে নিয়োগ বাণিজ্য সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ১০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে। অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হবে। পদ্ধতি পাল্টিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি বাইরের লোকজন রাখা যায় কি না তাও ভাবা হচ্ছে। জালিয়াতি করে কেউ চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতায় এসে পুলিশে ৫০ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। সেই অনুযায়ী গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬৪ জেলায় পুলিশ সদস্য নিয়োগের পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম পর্বে ১০ হাজার সদস্যের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে তা সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে ভেরিফিকেশনের (যাচাই-বাছাই) কাজ। সাধারণ কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও পুলিশ পোষ্য কোটায় চাকরি দেওয়ার বিধান আছে পুলিশে।
পুুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘স্বচ্ছতার মধ্যে পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। যেসব এলাকা থেকে কিছু অভিযোগ এসেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে আমরা কোনো তদবিরে পুলিশে চাকরি দিইনি। কেউ তথ্য গোপন করে চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, যখনই পুলিশে নিয়োগ শুরু হয় তখনই এক শ্রেণির দালাল তৎপর হয়ে ওঠে। দালালদের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে।
এক জেলার স্থায়ী বাসিন্দা আরেক জেলায় জমি কিনে আবেদন করার বিষয়টি ফাঁস হয়েছে পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে। এতে জানা গেছে, এবার পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়াদের মধ্যে ৮৫ জন ঢাকা জেলার প্রকৃত বাসিন্দা আর ৩০০ জনই অস্থায়ী বাসিন্দা।
আবেদনের জন্য ধামরাইয়ে জমি কেনার কিছু দলিল ঘেঁটে দেখা গেছে, নিয়োগ প্রার্থী আলমগীর হোসেন, বাবার নাম মরহুম হোসেন আলী ওরফে হাছানা। আবেদনের সঙ্গে বর্তমান ঠিকানা ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের বান্নাখোলা উল্লেখ করলেও পুলিশ ভেরিফিকেশনে জানা গেছে, তাঁর আসল ঠিকানা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ফলদা এলাকায়। আরেক প্রার্থী মো. সাইদুল ইসলামের বাবার নাম মো. জোয়াহের আলী। তাঁর স্থায়ী ঠিকানাও একই এলাকায়। তিনিও ধামরাইয়ের একই এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। মো. সাব্বির, মো. লুৎফুর রহমান নামে দুই প্রার্থীও একই কাজ করেছেন। তা ছাড়া মো. আতিকুর রহমান, বাবার নাম বুজরত আলী, মায়ের নাম জায়দা বেগম, স্থায়ী ঠিকানা টাঙ্গাইলের গোপালপুরের সোনাআটা এলাকায়। আবেদনে তিনি বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করেছেন ধামরাইয়ের বান্নাখোলা। টাঙ্গাইলের চরবখশিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. রিপন মিয়াও ধামরাইয়ের বান্নাখোলা ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। তাঁরা জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৪ শতাংশ জমি কিনেছেন বলে দলিল বানিয়েছেন। কালামপুর এসআর অফিস থেকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁরা জমির রেজিস্ট্রি করেছেন। অথচ পরীক্ষা শুরু হয় এর দুদিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি।
আমাদের ধামরাই প্রতিনিধি আবু হাসান জানান, অন্য জেলার বাসিন্দা হয়ে ঢাকার কোটায় নিজেদের ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা দেখিয়ে পুলিশে চাকরি নিতে যাচ্ছেন অনেকে। তবে ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম না থাকায় স্থানীয় লোকজনসহ জনপ্রতিনিধিরাও কাউকেই চিনতে পারছেন না। ধামরাই থানা সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জেলার ৩০০ জন নিজেদের ধামরাই উপজেলার বাসিন্দা দেখিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। তাঁদের বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা গেছে, তাঁরা তাঁদের নামে ১ থেকে ৩ শতাংশ জমির মালিকানা দেখিয়ে চাকরিপ্রার্থী হয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সোহেল রানা, পিতা জাকির হোসেন, গ্রাম চরগোবরা, উপজেলা ও জেলা গোপালগঞ্জ; তিনি ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নের আমছিমুর গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। মো. সজীব মিয়া, পিতা মিরাজ মিয়া, গ্রাম কাউনিয়া, উপজেলা মুকসুদপুর, জেলা গোপালগঞ্জ; তিনি বাইশাকান্দা গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। তাঁদের স্থানীয় কেউ শনাক্ত করতে পারছে না।
এ প্রসঙ্গে কুশুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিল হোসেন, সানোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টু, রোয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল আলিম, বাইশাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান, যাদবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু কালের কণ্ঠকে জানান, ওই ব্যক্তিদের তাঁরা চেনেন না। তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় নেই। তাঁরা ওই সব ইউনিয়নের বাসিন্দাও নন। এ ছাড়া তাঁদের ইউনিয়নের নাগরিক সনদও দেওয়া হয়নি।
নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভেরিফিকেশন (যাচাই-বাছাই) করেছেন ধামরাই থানার এসআই সেকেন্দার আলী শেখ, এসআই মাসুদুর রহমান, এসআই সানোয়ার হোসেন। তাঁরা জানান, স্থায়ী ঠিকানাসহ বর্তমানে তাঁরা যে ঠিকানা ব্যবহার করেছেন, সেই ঠিকানায় তাঁদের পাওয়া যাচ্ছে না।
ধামরাই উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, চাকরি নিতে প্রথমেই মিথ্যাচার দিয়ে যারা জীবন শুরু করে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আর যারা তাদের এই অনৈতিক কাজ করতে সহযোগিতা করেছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিলে আরো ভালো হবে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশের নতুন নিয়োগে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি মতাদর্শের লোকজন ঢুকে পড়লেও তাদের চাকরি বাতিল করে দেওয়া হবে। এই জন্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তিনি বলেন, টাকার বিনিময়ে কারো চাকরি হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর শতাধিক তদবির : অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তার স্ত্রী একাই শতাধিক ব্যক্তির নিয়োগের জন্য তদবির করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি জেলার এক পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘ওই কর্মকর্তার স্ত্রী খুবই ক্ষমতাধর। তিনি পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমাকে বলেছেন। প্রতিটি জেলায়ই তিনি তদবির করেছেন বলে আমরা জেনেছি।’
এক কর্মকর্তার গাড়ির চালকই করেছেন ৩০ তদবির : পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আলমগীর হোসেনের গাড়ির চালক নায়েক মো. আবু সাঈদও নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি অন্তত ৩০ জনের জন্য তদবির করেছেন। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আবু সাঈদ ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় এবার পুলিশে নিয়োগের জন্য কাজ করেছেন। প্রতি প্রার্থীর কাছ থেকে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা করে নিয়েছেন।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত ডিআইজি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এই নামে একজন গাড়িচালক আছে, তবে সে-ই কি না তা আমার জানা নেই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত হওয়ার পর কথা বলব।’
অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য গাড়িচালক আবু সাঈদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নেতাদের তদবিরে বিএনপি-জামায়াতের লোক : ঝিনাইদহে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগেও ব্যাপক অর্থ বাণিজ্য হয়েছে। এই নিয়ে প্রশাসনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারাই শিবির ও বিএনপি মতাদর্শী লোকজনের ব্যাপারে তদবির করেছেন বলে অভিযোগ আছে। জেলার এক পুলিশ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শৈলকুপা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের দেওয়া তালিকা থেকে ১৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই বিএনপি ও জামায়াতের অনুসারী বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তার পরও তাদের বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। নেতারাই অর্থ বাণিজ্য করে তাদের জন্য তদবির করেছেন আর বদনাম হচ্ছে পুলিশের। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়ার সঙ্গে পুলিশের কিছু অসাধু সদস্য জড়িত বলেও আমরা তথ্য পেয়েছি। তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।’
এমপিদের অভিযোগ : পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী ও সংরক্ষিত আসনের এমপি কামরুন্নাহার চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের এমপি গোলাম রাব্বানী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের এমপি গোলাম মোস্তফা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের আবদুল ওদুদ বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করে বলেছেন, তাঁরা জামায়াত-বিএনপি মতাদর্শী লোকজনকে পুলিশে চাকরি দিচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে পুলিশ মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা উল্টো অভিযোগ করে বলেছেন, নেতাদের তদবিরমতো চাকরি দেওয়া হয়নি বলেই তাঁরা অভিযোগ করেছেন। তবে নেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ