শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কে কলেজ ছাত্র খুনের মুল হোতা নাজমুল গ্রেপ্তার
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্ক সংলগ্ন ভারত সীমান্তবর্তী লালপাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে খুন হওয়া কলেজ ছাত্র রাজ্জাক হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা নাজমুল হাসানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ৪০ দিন পর গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাকে টাঙ্গাইল জেলা শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নাজমুল হাসান নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াবাড়ি গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নালিতাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ হোসেন জানান, মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বুধবার নিহত কলেজ ছাত্রের ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি গাজীপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। তার সূত্র ধরেই শুক্রবার টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই খুনের ঘটনার প্রধান আসামি নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জানান, শনিবার গ্রেপ্তারকৃত নাজমুলকে রিমান্ড আবেদনসহ বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শেরপুর সদরের যুগিনীমোড়া নামাপাড়া এলাকার কলেজ পড়ুয়া আব্দুর রাজ্জাকসহ ৪ বন্ধু গত ২০ ফেব্রুয়ারি মধুটিলা ইকোপার্কে বেড়াতে যায়। বেড়ানোর একপর্যায়ে তারা ইকোপার্কের নিকটবর্তী দূর্গম লালপাহাড়ে চলে গেলে একদল দূর্বৃত্ত তাদের আক্রমণ করে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এমনকি দূবৃর্ত্তরা কলেজ ছাত্র রাজ্জাককে (১৬) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার লাশ পাহাড়ের টিলা থেকে খাদে ফেলে দেয়। অন্য তিন বন্ধু গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল করিম বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে তদন্ত শুরু করার একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গত ২৫ মার্চ নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা গ্রামের আব্দুল হানিফের ছেলে মমিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। সে পরে বিচারিক আদালতে আদালতে রাজ্জাক হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয় এবং ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনের নাম প্রকাশ করে। শুক্রবার টাঙ্গাইল শহর থেকে ঘটনার মূল হোতা নাজমুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডে তিনজনের সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারকৃত নাজমুল কলেজ ছাত্রটিকে ছুরিকাঘাত করেছিলো। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুব শিগগিরই আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।