নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান রিপনের বিরুদ্ধে অনাস্থা
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করার অভিযোগে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা মঙ্গলবার বিকেলে অনাস্থা প্রস্তাব এনে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি ৮ এপ্রিল বুধবার সকালে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।
নালিতাবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন কার্যালয়ে চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি আনসার আলীর সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মুখলেছুর রহমান ওরফে রিপনের বিরুদ্ধে প্রকল্প গ্রহণে অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ, সরকারী গাড়ী ব্যবহারে নিয়ম না মানা, নিয়মিত কার্যালয়ে না আসা, অহেতুক ফাইল আটকিয়ে রাখাসহ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে সাবেক প্রেসিন্ডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক ও বক্তব্যের শেষে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করার অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এসময় ১২টি ইউপি চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান একাত্বতা প্রকাশ করে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন । পরে এই অনাস্থা পত্র এলাকার সাংসদ,স্থানীয় সরকারের সচিব,জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম থাকায় তার প্রতিকারের জন্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে।’
উপলো নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.আবু সাঈদ মোল্লা জানান, চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে উপজেলা চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পত্র পেয়েছি। বিষয়টি উধর্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মুখলেছুর রহমান জানান, ‘যে সব অভিযোগের ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে, তার কোন সত্যতা নেই। এই অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।’
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যার স্বাধীনতা দিবসের লিখিত বক্তৃতায় জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক ও বক্তব্যের শেষে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলায় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান বর্জন করেন। ওই দিন শহর আওয়ামীলীগ ও প্রজন্ম একাত্তরের নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। গত ২৮ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ২৯ মার্চ যুবলীগের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানের অপসারনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি দেন।