মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি; দুদকের পাঁচ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আরও পাঁচ কর্মকর্তা।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে মঙ্গলবার কমিশন সংশ্লিষ্ট ওই পাঁচ কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির বিষয়টি জানিয়েছে। দুদক সূত্র এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তারা হলেন— পরিচালক (পিআরএল ভোগরত) রঞ্জন কুমার মজুমদার (০১১৫০২০১১৭), উপ-পরিচালক এস এম গোলাম মাওলা সিদ্দিকী (০১১৮০১০২৭৫), সহকারী পরিদর্শক (পিআরএল ভোগরত) আবদুস সোবহান (০২১১০৪০১৮৮), পিআরএল ভোগরত কোর্ট সহকারী (এএসআই) নুরুল ইসলাম (০১১৭১৩০০৬০) ও ইসহাক ফকির (০১১৬০৭০০৭৬)।
দুদক সূত্র জানায়, দুদকের আইন বিভাগের সদ্যবিদায়ী ডিজি কামরুল হোসেন মোল্লার অব্যাহতির পর ওই পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুন করে স্বীকৃতি দেওয়া হল।
প্রতিষ্ঠানের ডিজিসহ ৯ কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অভিযোগের অনুসন্ধান প্রতিবেদন ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি কমিশনে জমা দেয় অনুসন্ধান কর্মকর্তা। অনুসন্ধান প্রতিবেদনে অনৈতিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) কামরুল হাসান মোল্লা, পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া ও উপ-পরিচালক ঢালী আবুদস সামাদকে দায়ী করা হয়েছে।
অন্যদিকে অপর পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়ার অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর। এরই মধ্যে অপরাধের দায় মাথায় নিয়ে স্বেচ্ছায় কমিশন পদত্যাগ করেছেন ওই পরিচালক।
২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর কমিশনের মাসিক সভায় খোদ কমিশনের নয়জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করে কমিশন এতে অনুমোদন করলে ২২ অক্টোবর দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধানকারী টিম গঠন করা হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে এ টিমের অন্য সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম।