শিগগিরই ১০ হাজার নার্স নিয়োগ : প্রধানমন্ত্রী

PM_5_08.04.201নার্সিং পেশা সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ পেশা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এ পেশাকে আমি সম্মান করি। নার্সরা সেবা দিয়ে একজন রোগীকে সুস্থ করে তোলেন। এ পেশাকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। নার্সিংয়ে স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডিসহ উচ্চতর ডিগ্রি লাভের সুযোগ সৃষ্টি হবে। শিগগিরই আরও ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসাসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই।’
গাজীপুরে কাশিমপুরের সারাবোর তেতুইবাড়িতে বুধবার সকালে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে বিশেষায়িত কোনো হাসপাতাল ছিলই না। আমরা হাসপাতাল করেছি। নার্সিং সেবা মহৎ পেশা। এ নার্সিং কলেজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মেধাবিকাশের সুযোগ পাবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের সেবা করা। আমরা সেবার মানসিকতা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। সরকারি ও বেসরকারিভাবে যেন আরও হাসপাতাল গড়ে উঠতে পারে সে জন্য আমরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামান্য অসুখ-বিসুখে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। মানুষের এ প্রবণতা কমাতে চিকিৎসা ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিশুদের চিকিৎসা ব্যয় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করতেই স্থাপিত হয়েছে বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল।’
স্বাস্থসেবা নিতে বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও অসুস্থ হলে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নেব।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল বিশেষায়িত হাসপাতালটিকে পর্যায়ক্রমে ৫০০ শয্যায় উন্নীত এবং এখানে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হবে।’
তিনি মালয়েশিয়ার কেপিজে হেলথ কেয়ার বার্হাড’র প্রেসিডেন্টের বরাত দিয়ে বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠান থেকে শ্রেষ্ঠ ১০ জন নার্সকে বিনামূল্যে মালয়েশিয়ায় তাদের প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হবে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রকল্প পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, মালয়েশিয়া কেপিজে হেলথ কেয়ার বার্হাডের প্রেসিডেন্ট তুয়ান হাজি আমির উদ্দিন আবদুল সাতার।
২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি এ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ নজিব বিন তুন আবদুল রাজাক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোটবোন শেখ রেহানা যৌথভাবে এ হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
মালয়েশিয়ার সেবা সংস্থা কামপুলান পেরুতান জহর (কেপিজে) এ আধুনিক হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে। এটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হয়েছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com